পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভাগবত—ঈশ্বরচন্দ্র সরকার—১৯শ শতাব্দী।
৯২৭

রামের নিকটে রজক আইল তখন।
গলে বাস দিয়া বলে শুন নারায়ণ॥
আমি অতি দুরাচার পাপিষ্ঠ দুর্জ্জন।
আমার কথায় হৈল জানকীর বন॥
কত অপরাধ কৈনু না যায় বর্ণন।
নিজ-হস্তে কর মম মস্তক ছেদন॥
পাপে মুক্ত হই আমি দেহ পরিহরি।
স্বহস্তে মস্তক ছেদ কর ধনুর্ধারী॥
শ্রীরাম বলেন যদি বধিব তোমাকে।
নিন্দুকের অপরাধ ভুগিবেক কে॥
মম হস্তে দেহত্যাগ করে যেই জন।
অপরে গোলোকে কিম্বা বৈকুণ্ঠে গমন॥
এই হেতু বলি তোমায় রজক-কুমার।
বর দিলু কৃষ্ণরূপে করিব উদ্ধার॥
বর পেয়ে রজক-পুত্ত্র অতি সমাদরে।
দ্বাপরে জন্মিল আসি মথুরা-নগরে॥
বস্ত্র-উপলক্ষ মাত্র শুনহ রাজন।
এই হেতু করিলেন রজক-নিধন॥
সংক্ষেপে কহিনু রাজা শুন তত্ত্ব তার।
ঈশ্বরচন্দ্র রচিল রজক-উদ্ধার॥

শ্রীকৃষ্ণ কর্ত্তৃক কংস-বধ।

এখানেতে কংস করি যজ্ঞ আরম্ভণ।
সিংহদ্বারে শঙ্খচূড় কৌবল[১] বারণ॥
স্থানে স্থানে আয়োজন ঘৃতের কলসী।
পট্ট বস্ত্রাদি মধু তণ্ডুল রাশি রাশি॥
আম্র-শাখা স্থানে স্থানে কদলী-রোপণ।
আতপ তণ্ডুল স্থানে ঘট-সংস্থাপন॥
পাঠ করে দ্বিজগণ হোমে দিল মন।
যজ্ঞ-মন্ত্র পাঠ কত করে জনে জন॥

  1. কুবলয়াপীড় নামক হস্তী।