নরের মধ্যেতে তোরে নাহি করি গণ্য।
গোকুলে খাইলি তুই গোপ-গৃহে অন্ন॥
মাঠে মাঠে গোঠে গোঠে রাখালের সনে।
কংস-বধ।চরালি গোধন গরু গিয়া বৃন্দাবনে॥
এতেক ভর্ৎসনা যদি কৃষ্ণকে করিল।
মহাক্রোধ-ভরে কৃষ্ণ গর্জ্জিয়া উঠিল॥
ক্রোধ-ভরে কংসরাজার ধরি দুই কর।
হস্তি-দন্তাঘাত মারে মস্তক উপর॥
শিরভঙ্গ হইয়া সে কংস মহাবীর।
কুঞ্জরের দন্তাঘাতে ত্যজিল শরীর॥
রাধাকৃষ্ণ দাসের ভাগবত।
(রচনাকাল ১৯শ শতাব্দী।)
দ্বারকা-বিলাস।
যে পুথি হইতে এই অংশ উদ্ধৃত হইল তাহা ১০০ বৎসরের ঊর্দ্ধ কালের। এই কবিতার উপরে যে সকল গদ্য হেডিং দেওয়া আছে, তাহাও গ্রন্থকারের রচিত।
নারদগোস্বামী শ্রীকৃষ্ণের নিকটে লক্ষীরূপা রুক্মিণীর প্রসঙ্গ কহেন৷
নারদের স্তবে তুষ্ট হয়ে নারায়ণ।
মুনি প্রতি সাধুবাদ দিলেন তখন॥
ঊভয়ে উভয়ে পেয়ে মনে তুষ্ট অতি।
কহেন শ্রীকৃষ্ণচন্দ্র নারদের প্রতি॥
কহ কহ গুণাকর দেব-ঋষিবর।
গমনাগমন তব আছে চরাচর॥
দেখিয়াছ মুনিরাজ ইন্দ্র-চন্দ্রলোক।
শিবলোক ব্রহ্মলোক বৈকুণ্ঠ গোলোক॥