স্বর্গ মর্ত্ত্য রসাতলে গমন তোমার।
হেরিয়াছ রম্য স্থান বিবিধ প্রকার॥
আমিই করেছি পুরী দ্বারকা নামেতে।
কিরূপ হয়েছে শুনি তোমার মুখেতে॥
শ্রীপতির শ্রীমুখেতে শুনে এই বাণী।
উত্তর করেন দেব-ঋষি মহামুনি॥
মুনি বলে শুন হরি সংসারের সার।
তুলনার স্থান-দান নাহি দ্বারকার॥
অতুল্য দ্বারক-পুরী এ তিন ভুবনে।
জনমিয়া হেন স্থান না দেখি নয়নে॥
যথা তুমি আবির্ভাব ত্রিজগৎ-পতি।
সেই সে পরম স্থান প্রশংসিত অতি॥
উত্তম হয়েছে পুরী শুন হে মাধব।
কিন্তু এক বিহীনেতে শ্রীহীন এ সব॥
শুনিয়া বিস্ময় হয়ে কহে বিশ্বম্ভর।
শ্রীহীন কহিলে কেন কহ যোগি-বর॥
এত মণি মুক্তা দিয়ে সাজাএছি পুর।
তথাচ শ্রীহীন কেন কহিলে ঠাকুর॥
মুনি বলে শুন ওহে কমলার পতি।
সামান্য মণিতে কিহে শোভে দ্বারাবতী॥
কত শত মণি মুক্তা প্রবাল কাঞ্চন।
যার কটাক্ষেতে লোক পায় নানা ধন॥
এ হেন কমলা লক্ষ্মী নাহি যার ঘরে।
লক্ষ্মীহীনা দেখি পুরী দুঃখিত অন্তরে॥
সেই দুঃখে দুঃখ বড় হতেছে হে মনে।
লক্ষ্মীহারা হয়ে হরি আছহ কেমনে॥
বিদর্ভ-নগরে ভূপ ভীষ্মক-দুহিতে।
জন্ম লরেছেন লক্ষ্মী রুক্মিণী-রূপেতে॥
বিবাহ করিয়া লক্ষ্মী আন নারায়ণ।
তবে হবে দ্বারকার পরম শোভন॥
কমলাঙ্গী কমলা নাহিক গৃহে যার।
শ্রীবিনে শ্রীহীন তেঁই বলি দ্বারকার॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভাগবত—রাধাকৃষ্ণ দাস—১৯শ শতাব্দী।
৯৩১