কমলার কথা কৃষ্ণ করিয়া শ্রবণ।
সজল হইল দুটি কমল-লোচন॥
কমলা-কারণে নীল-কমল অস্থির।
সুস্থির না মানে মন হইল অস্থির॥
রুক্মিণীর নাম আসি অন্তরে পশিল।
নির্ব্বাণ বিচ্ছেদ-অগ্নি জ্বলন্ত হইল॥
হাসিয়া নারদ প্রতি কহেন গোবিন্দ।
ঘটক হইয়া মুনি করহ সম্বন্ধ॥
আটক কি আছে বলে দেব-ঋষি কয়।
কল্য বিদর্ভেতে গিয়া করএ বিষয়॥
এত বলে দেব-ঋষি হইল বিদায়।
পয়ার প্রবন্ধে রাধাকৃষ্ণ দাস গায়॥
নারদগোস্বামী ভীষ্মক-রাজার নিকট উপস্থিত হইয়া শ্রীকৃষ্ণের সহিত রুক্মিণীর বিবাহের কথা কহেন।
আনন্দে গোবিন্দ-গুণ করিয়া কীর্ত্তন।
বিদর্ভে নারদ মুনি করিলা গমন॥
সভামাঝে ভূপতি বসেছে বার দিয়া।
তথায় নারদ-মুনি উতরিলা গিয়া॥
নিরখিয়া নারদেরে নরেন্দ্র সত্বরে।
সভাসুদ্ধা উঠে রাজা অভ্যর্থনা করে॥
বন্দনা করিয়া রাজা যোগীর চরণ।
পাদ্য অর্ঘ্য পদে শীঘ্র করিলা অর্পণ॥
যোগাইয়া কুশাসন যোগীরে বসায়।
স্বাগত কুশল কথা জিজ্ঞাসেন রায়॥
রাজা বলে মুনি অদ্য মম শুভক্ষণ।
ভাগ্যগুণে দেখিলাম তোমার চরণ॥
ধন জন রাজ্য মোর সফল হইল।
তব দরশনে মনে সন্তোষ বাড়িল॥
মুনি বলে তুমি রাজা ধর্ম্মশীল অতি।
পরম বৈষ্ণব তুমি বিষ্ণুপদে মতি॥
শান্ত দান্ত সুশীল সুধীর গুণধাম।
প্রজার পালনে তুমি অযোধ্যার রাম॥