মানসে সঁপিল দেবী কৃষ্ণ-পদে মন।
মনে মনে মাধবেরে করিলা বরণ॥
উদ্দেশে কৃষ্ণের প্রতি কহেন রুক্মিণী।
দেখ কৃষ্ণ দয়া কর দেখিয়া দুঃখিনী॥
নাম শুনে শ্রীচরণে সপিলাম প্রাণ।
ভেবে দাসী কাল শশী কর কৃপা দান॥
এত ভাবি অশ্রুজলে নয়ন পূরিল।
কৃষ্ণনাম-রূপ অশ্রু অন্তরে পশিল॥
রুক্মিণীর ভাব দেখে কোন সখী কয়।
শুভকর্ম্ম শুনে মাগো কান্না ভাল নয়॥
বিবাহ শ্রবণে নারী হয় হৃষ্ট মন।
তোমার বিরস ভাব এ আর কেমন॥
আর সখী বলে সখী তা নয় তা নয়।
হয়েছে বয়স্থাকাল বিবাহ না হয়॥
সেই জন্য রাজ-কন্যা দুঃখিতা অন্তরে।
গলে সুধা দিলে ক্ষুধা তৃপ্ত নাহি করে॥
হেন রূপে সখী সবে রঙ্গ আরম্ভিল।
রাধাকৃষ্ণ দাস দ্বিজ ভাষায় রচিল॥
রুক্মিণীর বিবাহ-কারণ ভীষ্মক-রাজার স্বীয় পুত্ত্রের সহিত পরামর্শ।
কহেন বিদর্ভপতি আপন অপত্য প্রতি
শুন বাছা রুক্মী গুণাকর।
তব ভগ্নী মম কন্যা রুক্মিণী রূপেতে ধন্যা
তার জন্যে চিন্তিত অন্তর॥
কন্যাকাল হল তার তুল্যপাত্র পাওয়া ভার
রুক্মিণীরে কারে করি দান।
রূপে গুণে কুলে শীলে হেন পাত্র নাহি মিলে
কি করিব ইহার বিধান॥
শুন শুন বাছা ধন অদ্যকার বিবরণ
হয়েছিল নারদ-আগমন।
বিবাহের কথা যত করিলাম অবগত
শুনিয়া কহিল তপোধন॥