রুক্মিণী লক্ষ্মী-রূপিণী নহে সামান্য কামিনী
এ কন্যার পতি-যোগ্য বর।
ভূমণ্ডলে পাওয়া ভার কৃষ্ণচন্দ্র বিনা আর
বসুদেব-পুত্ত্র গুণাকর॥
নিরমল যদু-কুল তাহে শ্রীকৃষ্ণ অতুল
অনুকূল হলে ভগবান।
কৃষ্ণে করি কন্যা দান বাড়াব কুলের মান
চরণে চরমে পাব স্থান॥
সামান্য পুরুষ নয় সেই কৃষ্ণ বিশ্বময়
বেদে বলে সংসারের সার।
জামাতা করিয়া তারে কাঁটা দিব যম-দ্বারে
ভবে ফিরে আসিব না আর॥
সেই কন্যা-তুল্য বর বুঝ রাজা তবান্তর
তবে লগ্ন পত্র করি স্থির।
যেমন মম নন্দিনী জামাতা হইলে তিনি
তবে ঘুচে মনের তিমির॥
কৃষ্ণের পরম শত্রু দুষ্ট রুক্মী রাজ-পুত্ত্র
হরি নাম করিয়া শ্রবণ।
শ্রবণেতে দিয়া কর কহে একি নরেশ্বর
কটূত্তর কহিলে বচন॥
নারদের মন্ত্রণায় একি তব ভ্রান্তি রায়
কৃষ্ণে কন্যা দিতে চাহ দান।
করিলে এমত কায লজ্জা পাবে মহারাজ
হইবে কুলের অপমান॥
তব সুতা সে রুক্মিণী আমার কনিষ্ঠ ভগ্নী
-গোপ-সুতে করিলে অর্পণ।
কুল-ধর্ম্ম দূর হবে রাজাগণে কুচ্ছা[১] কবে
চল্তে হবে নোয়াএ বদন॥
কি কহিব নারদায় এ কথা কৈলে আমায়
সমুচিত করিতাম তার।
- ↑ কুৎসা=দুর্ণাম।