পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৩৮
বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়।

লোকে বলে কৃষ্ণ বসুদেবের কুমার।
সে সম্পর্কে কংসরাজা মাতুল তাহার॥
মাতৃ-ভ্রাতা মাতুল পরম গুরুজন।
ধন জন্য গুরু-বধ করিল দুর্জ্জন॥
এমন পাপিষ্ঠ কৃষ্ণ দুষ্ট কদাচারী।
কতগুলা মূর্খলোক ব্যাখ্যা করে তারি॥
বলিতে বলিতে রুক্মী ক্রোধে হুতাশন।
দুই চক্ষু হৈল যেন মধ্যাহ্ন-তপন॥
তর্জ্জন-গর্জ্জনে রুক্মী পিতা প্রতি কয়।
রুক্মিণীর তুল্য পাত্র আছে মহাশয়॥
আপনি দেখিয়া আমি সম্বন্ধ করিব।
ধনী মানী বীর দেখে রুক্মিণীরে দিব॥
চিন্তা ত্যজ মহীপতি ভেব না অন্তরে।
সম্বন্ধ করিতে আমি চলিগো সত্বরে॥
এত বলি যুবরাজ করিল গমন।
দেশ দেশান্তরে বর করে অন্বেষণ॥
রাধাকৃষ্ণ দাস বলে দোষ নাই আমার।
স্তুতি নিন্দা নারায়ণ সমান তোমার॥

যুবরাজ শিশুপালের সহিত রুক্মিণীর সম্বন্ধ করেন।

হেন মতে রাজপুত্ত্র ভীষ্মক-নন্দন।
দমঘোষ-গৃহে রুক্মী করিলা গমন॥
রুক্মীরে দেখিয়া দমঘোষ রাজ্য-পতি।
আইস আইস বলে করে অভ্যর্থনা অতি॥
তবে বাপু আছ সুখে রাজ্যের কুশল।
রুক্মী কহে আশীর্ব্বাদে কুশল মঙ্গল॥
দমঘোষ বলে বাছা কহ বিবরণ।
কি লাগিয়া এ পর্য্যন্ত হল আগমন॥
রাজপুত্ত্র বলে কিছু প্রয়োজন আছে।
সেই জন্য আগমন আপনার কাছে॥
অদত্তা কনিষ্ঠা এক আছএ আমারি।
উপযুক্ত বর পাত্র না পাই তাহারি॥
অতএব অন্তরে করেছি অনুমান।
তব সুত শিশুপালে ভগ্নী দিব দান॥