পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভাগবত—রাধাকৃষ্ণ দাস—১৯শ শতাব্দী।
৯৪৩

তার বিপদে শ্রীপদে ভিক্ষা করি।
রাখ দাসীজনে দীন-বন্ধু হরি॥
জেনে অসীম মহিমা ও নামেতে।
প্রাণ সঁপেছি হে তোমার প্রেমেতে॥
নাহি অন্য গতি তোমা ভিন্ন হরি।
যদি না তার হে তবে প্রাণে মরি॥
হে শ্রীকান্ত নিতান্ত অধিনী বলে।
দেহ কৃপাবারি মনোদুঃখানলে॥
তোমা বিহনে স্বপনে নাহি জানি।
দুঃখে ত্রাহি মে ত্রাহি মে চক্রপাণি॥
শুনি ভক্তজনে তুমি হিতকারী।
ভাবি ভক্তিভাবে তার হে মুরারি॥
আমি নিশ্চিত বিক্রীত শ্রীপদেতে।
কর পূর্ণ আশা মরি দুর্গমেতে॥
কৃপা-সিন্ধু তুমি পুরাণে শুনেছি।
যতনে চরণে শরণ লয়েছি॥
কর হিত উচিত হে বংশীধারী।
শরণাগত হে আমি যে তোমারি॥
রাধাকৃষ্ণ দাসে বিনয়েতে ভাষে।
হরি তার হে তার হে দীন দাসে॥

রুক্মিণী পত্র লিখিয়া দ্বারকায় শ্রীকৃষ্ণের নিকটে প্রেরণ করেন।

হেনরূপে ভাবান্তর ভীষ্মক-দুহিতা।
লক্ষ্মীকান্ত বিনে লক্ষ্মী অন্তরে দুঃখিতা॥
কৃষ্ণ ধ্যান কৃষ্ণ জ্ঞান কৃষ্ণ নাম সার।
কৃষ্ণ ভিন্ন অন্য মনে ধরে না যে আর॥
চিন্তামণি বিনা দেবী চিন্তাযুক্ত মনে।
কিরূপে পাইব কৃষ্ণ আখির অঞ্জনে॥
ভাবিয়া চিন্তিয়া যুক্তি করিলা নিশ্চিত।
আত্মপত্র দ্বারকায় পাঠান উচিত॥
কারে পাঠাইব তথা কে আছে এমন।
গোপনে লইয়া লিপি যাবে কোন্‌ জন॥