এরূপে অচিন্তাময়ী অন্তরে চিন্তিয়া।
প্রতিবাসী এক দ্বিজে আনে ডাকাইয়া॥
সমুদায় বিবরণ কয়্যে দ্বিজবরে।
কান্দে দেবী ব্রাহ্মণের দুটি পদে ধরে॥
গদগদ ভাষে দেবী প্রীতি করে কয়।
এক উপকার কর দ্বিজ মহাশয়॥
একবার দ্বারকায় যাইতে হইবে।
আমার এই পত্রখানি কৃষ্ণেরে সঁপিবে॥
বহু পুরস্কার কৃষ্ণ করিবে তোমায়।
জন্মের মত আমি তব বিকাইব পায়॥
ধনের প্রসঙ্গ শুনে নির্দ্ধন ব্রাহ্মণ।
বলে মা অবশ্য তথা করিব গমন॥
রাখিব তোমার বাক্য দ্বারকায় যাব।
তব হিত করে ধন সমুচিত পাব॥
এত শুনি রুক্মিণী হইয়া তুষ্ট-মন।
পত্রমধ্যে লিখিলেন আত্ম-বিবরণ॥
সংগোপনে সেই পত্র ব্রাহ্মণে সঁপিল।
পত্র লয়ে দ্বিজবর দ্বারকা চলিল॥
দিবা রাত্রি যায় দ্বিজ বিশ্রাম না করে।
অপরেতে উত্তরিল দ্বারকা-নগরে॥
দেখি দ্বারকার শোভা চমকে ব্রাহ্মণ।
কোন স্থানে আইলাম ভাবয়ে তখন॥
শুনেছি অমরাবতী ইন্দ্রের আলয়।
সেই বুঝি এই স্থান হইবে নিশ্চয়॥
কিম্বা ব্রহ্মলোক হবে ব্রহ্মার আবাস।
অথবা বৈকুণ্ঠ কিম্বা শিবের কৈলাস॥
পৃথিবীতে নানা রাজ্য করেছি ভ্রমণ।
কুত্রাপি এমন স্থান করিনে দর্শন॥
ধন্য ধন্য কৃষ্ণচন্দ্র বড় ধনী বটে।
বহু অর্থ পাব আমি কৃষ্ণের নিকটে॥
এত বলি পুব-মধ্যে করিল গমন।
দ্বিজ দেখি প্রণতি করেন নারায়ণ॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৪৪
বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়।