পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভাগবত—রাধাকৃষ্ণ দাস—১৯শ শতাব্দী।
৯৪৭

শ্রীকৃষ্ণের বিদর্ভে গমন।

হেনরূপে হৃষীকেশ বেড়াইয়া নানা দেশ
উত্তরিয়া বিদর্ভ-নগরে।
থাকি অতি সংগোপনে বার্ত্তা দিতে প্রিয়াজনে
পাঠাইলা উক্ত দ্বিজবরে॥
হরিষে বিষাদ মন হয়্যে চলিল ব্রাহ্মণ
যেখানেতে ভীষ্মক-নন্দিনী।
নিরক্ষিয়া সে ব্রাহ্মণে কমলা প্রফুল্ল মনে
প্রণমিয়া কহেন রুক্মিণী॥
কহ দ্বিজ মহাশয় গিএছিলে যে আশয়
সে বিষয় হল কি সুসার।
কি হইল মম পক্ষে কি উত্তর কৃষ্ণ-পক্ষে
প্রাণ-রক্ষে হবে কি আমার॥

দ্বিজ বলে রাজকন্যা আমারে হৈয় না দৈন্যা
কালী তব কুশল করেছে।
পাঠাইয়েছিলে যত্র যারে লিখিছিলে পত্র
সেই কৃষ্ণ বিদর্ভে এসেছে॥
এত শুনি দ্বিজমুখে শ্রবণ জুড়ায় সুখে
সুসংবাদ করিয়া শ্রবণ।
আনন্দে অঙ্গ অবশ উপজিল প্রেমরস
নিভিল বিচ্ছেদ-হুতাশন॥

দেবী অতি তুষ্ট মনে বিনয়ে কহে ব্রাহ্মণে
ওহে দ্বিজ যে কর্ম্ম করিলে।
কি দিব সামান্য ধন জন্মের মত হে ব্রাহ্মণ
বিনি মূলে আমারে কিনিলে॥
দ্বিজ বলে একি দায় তুল্য দেখি দুজনায়
তিনিও বলেন ঐ কথা।
একি জ্বালা ভাবি তাই দেওয়া থোয়া কারু নাই
মধুর বচন মাত্র বৃথা॥
এত ভাবি দুঃখ-মনে ব্রাহ্মণ চলে ভবনে
ওখানেতে শুন চমৎকার।