এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভাগবত—রাধাকৃষ্ণ দাস—১৯শ শতাব্দী।
৯৫৩
রুক্মিণীরে হরি যদি লন হরি
প্রহরী যতেক ছিল।
হয়ে ক্রোধান্তর করে উচ্চৈঃস্বর
ধর ধর আরন্তিল॥
হয়্যে কোপবন্ত যতেক সামন্ত
শ্যামাঙ্গে বরিষে বাণ।
বলে ওরে চোর আয়ুঃ শেষ তোর
আজি হারাইলি প্রাণ॥
পাছু না বুঝিয়া মুষিক হইয়া
সিংহ-গৃহে কর জোর।
নাহি ত্রাণ পাবে আজি শাস্তি হবে
ঘোর ভেঙ্গে যাবে চোর॥
এতেক বলিয়া সকলে রুষিয়া
যুড়িয়া ধনুকে শর।
কৃষ্ণের উপরে অস্ত্র বৃষ্টি করে
যেন বর্ষে জলধর॥
হাসি নারায়ণ ধরি সুদর্শন
রিপু-অস্ত্র নিবারিল।
স্ব-অস্ত্রে কেশব নাশে সৈন্য সব
ত্রাসে কত পলাইল॥
হয়্যে দুঃখ-যুত গিয়ে ভগ্নদূত
ধায়ে রুক্মীর গোচরে।
বহে ঘনশ্বাস বলে সর্ব্বনাশ
রুক্মিণী হরিল চোরে॥
দূতের বচন করিয়া শ্রবণ
রুক্মী ক্রোধানলে জ্বলে।
যত রাজা ছিল গর্জিয়া উঠিল
রাগে মার মার বলে॥
হয়ে সুখ-যুত হাতে বান্ধি সূত
শিশুপাল এসেছিল।
রুক্মিণীহরণ শুনিয়া তখন
শিরে হস্ত দে বসিল॥
১২০