রুক্মীর সহিত কৃষ্ণ যুদ্ধ করে যথা।
করিয়া মৃগেন্দ্র-ধ্বনি উত্তরিল তথা॥
বলভদ্রে দেখি কৃষ্ণ তুষ্ট অতি মনে।
মধুপানে মত্ত রাম প্রবর্ত্তিল রণে॥
লাঙ্গল মুষল লয়্যে রাম করে রণ।
সৈন্য নাশে অগ্নি যেন দহে উলুবন॥
এক মুষলের ঘাতে শত শত মরে।
রিপুচয় পায় ভয় হাহাকার করে॥
দেখে রণ রাজাগণ শিরে হস্ত দিল।
বলে আর বাঁচা ভার লাঙ্গলা আইল॥
ত্রাস ভেবে শত্রু সবে করে হায় হায়।
কেহ কহে রক্ষা ভার অদ্যকণর দায়॥
কার্য্য নাই চল ভাই কেহ কহে কারে।
যুদ্ধ করে লাঙ্গলারে কে জিনিতে পারে॥
কেহ বলে যা বলিলে পালান মঙ্গল।
নহে প্রাণ অবসান হইতে মুষল॥
হেন মতে সকলেতে করএ বিচার।
সমরে সংহারে রাম সামন্ত অপার॥
ক্রোধ-যুত রাজ-সুত রুক্মী হয়ে মনে।
দর্প করে যুদ্ধ করে শ্রীকৃষ্ণের সনে॥
করে বাণ সুসন্ধান যত জানা ছিল।
সে সমস্ত হল ব্যর্থ কৃষ্ণ নিবারিল॥
হয়ে ত্রস্ত নিজ অস্ত্র এড়ি ভগবান।
খানখান করিলা রিপুর রথখান॥
কৃষ্ণচন্দ্র অর্দ্ধচন্দ্র-অস্ত্র প্রহারিয়া।
বিরথী করিলা তার সারথি কাটিয়া॥
সমর ছাড়িয়া রুক্মী পলাইতে চায়।
ধরে কেশ হৃষীকেশ রথে বান্ধে তায়॥
রুক্মীরে বন্ধন যদি করিলেন হরি।
পায়ে ভয় ভঙ্গ দেয় রণে যত অরি॥
হেন রূপে কৃষ্ণপক্ষে হয় জয় জয়।
বিপক্ষে বিমুখ হয় হয়ে পরাজয়॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৫৬
বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়।