পরপুরুষকে আড় চক্ষে চাহি।
পরসম্ভাষে বাটে রহি॥
এ নারী ঘরে না থুই।
রাণ্ডী হইয়া ভোগরাই[১]॥
হাসিয়া চাহে আড় দৃষ্টি।
বলে ডাক সেই নষ্টী॥
যথা বাড়ী বাটে বাট।
যুবতী হইয়ে যায় হাট॥
* * * * * * * * বরিষাতে বিনি ছাতাতে যায়।
পানী দেখিয়া তরাসে ধায়॥
সিয়া পাতে[২] খায় দুধ।
বলে ডাক সে বড় অবুধ[৩]॥
যে নারী কাটন নাহি কাটে।
রাতি পোহাইলে
পোপানকে সাটে[৪]॥
কিছু বলিতে যায় রোষে।
ডাক বলে পুরুষ দোষে॥
* * * * * * * * নৌকা থাকিতে যে সান্তরে।
বলে ডাক মে কি সাধবু তারে॥
মিছা কাজে গাছে চড়ন।
তাহার মরণ যখন তখন॥
|
যে পরের ঋণে লাগা হয়।
ব্রাহ্মণ হইয়া শৃদ্রাণীর খায়॥
* * * * বলে ডাক তার বিনাশ॥
বেশ্যা হইয়া লাজউলী[৫]।
মুখ পোড়াহ তার আগুন জ্বালি॥
চোর গাই বাঁঝি[৬] ছাগলী।
ঘরে আছে দুষ্টা মেহলী[৭]॥
খল পড়শী পো মুরুখ।
বলে ডাক এ বড় দুঃখ॥
বিনি চূণে গুয়া খায়।
ভাত হৈলে রোষ করিয়া যায়॥
ঘাট এড়িয়া অঘাটে নায়।
মাগ মরলে শ্বশুর বাড়ী যায়॥
সে কান্দিয়া রাত্রি পোহায়।
* * * * এ চারিজন মৈলে নাহিক দোষ॥
ঈশ্বরের[৮] স্ত্রী সনে করে পরিহাস।
গাভুর বয়সে যাতে কাশ॥[৯]
গুরুজনকে করে উপহাস।
বলে ডাক তার নাই জীবনের আশ॥
না থুইব[১০] যে গুরু মারে।
না থুইব যে স্ত্রী জার করে॥
পরের বাড়ীতে যাহার বাড়ীয়ালী।
দুই স্ত্রীয়ে যথা কন্দলী॥
|