বৌদ্ধযুগ-মাণিকচন্দ্র রাজার গান – খ্রঃ ১১শ-১২শ শতাব্দী। ২৭ মানস মনোহর ধরিয়া দ্বিজবর গ্রন্থি বনদা (১) করে। শঙ্খ শিঙ্গায় ধ্বনি করয়ে যত মুনি বেদ গান উচ্চস্বরে। রজত কাঞ্চন নৃপতি করে দান দ্বিজবরে যায় লয়্যা। কাঞ্চন পাটে ধরিয়া বসায়া মহেশ্বরে ফিরায় যতেক মেয়া (২)॥ শতেক যুবতি পাটেতে শকতি বসায় ফিরায় সপ্তবার। মঙ্গল উচ্চারিয়া সপ্তবার ফিরায়া দুখনি করিল হুনার॥ মোহন ফুলমাল তুলিয়া নিল বালা দিলেন আজার গলে। এথায় দ্বিজবর মান্ত মনোহর আদ্যার গলায় ফেলে॥ হুলুই বাজন করে পুরাগণ ধরিয়া দুখানি কলা (৩)। আদ্য নিরঞ্জন একোহি জীবন (৪) দুহে বদলিল মালা॥ সেতাই নিলাই বংশাই রামাই এ চারি পণ্ডিত তথি। বিবাহ সমাপণ করিয়া চারিজন বিচারে আগম পুথি। আদ্য নিরঞ্জন একোহি জীবন বসিলা একোই প্রাণী। রামাই পণ্ডিত শিরেতে বন্দিল বিবাহ হইল এখনি॥ মাণিকচন্দ্রের গান। বৌদ্ধযুগ—মাণিকচন্দ্র রাজার গান— খৃঃ ১১শ-১২শ শতাব্দী। ১৮৭৮ সনের এসিয়াটিক সোসাইটির জাঙ্গালে (প্রথম ভাগ, ৩নং, ১৮১ পৃঃ) উদ্ধত ডাক্তার গ্রীয়ারসন কর্তৃক সঙ্কলিত গানের অংশ। গোবিন্দচন্দ্র পাল (গোবি বা গোপীচন্দ্র ) ১১শ-১২শ খৃষ্টাব্দে বঙ্গে রাজত্ব করিতেছিলেন। তাহার সন্ন্যাস-গ্রহণে সমস্ত ভারতবর্ষে করুণার উদ্রেক করিয়াছিল। গোবিন্দচন্দ্রের গান তাহার রাজত্বের সামসময়িক, ভাষা অনেকটা রূপান্তরিত হইয়াছে। এজন্য ফার্সি শব্দ ইহাতে (১) বন্ধন। (২) মেয়া= স্ত্রীলোক, এখানে এয়োগণ। (৩) কলা =অংশ,–প্রকৃতি ও পুরুষ। (৪) বাস্তবিক পক্ষে প্রকৃতি ও পুরুষ একই বটে।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।