অন্ধুনীর শোক। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। পুরুষর সঙ্গে গেলে কি স্ত্রীক বাঘে ধরে খায়। ও গুলা কথা বুট মুট পালাবার উপায়। খায়ন কেনে বোনর বাঘে তাক নাই ডর। নিত (১) কলঙ্কে মরণ হউক স্বামীর পদতল ৷ তুমি হবু বট বৃক্ষ আমি তোমার লতা। রাঙ্গা চরণ বেড়িয়া লমু পালাইয়া যাবু কোথা। যখন আছিন্ত আমি মা বাপর ঘরে॥ তখন কেনে ধর্ম্মী রাজা না গেলেন সন্ন্যাসী হইয়ে॥ এখন হইলু রূপর নারী তোরে যোগ্যমান। মোকে ছাড়িয়া হবু সন্ন্যাস মুই তেজিম পরাণ ৷ তোমারে আগে কাল যৌবন মোর পড়ুক গড়িয়া। পাকিলে মাথার চুল যাবেন সন্ন্যাসী হইয়া। (২) এরঙ্গ মালতীর ভরে কুইয়া পড়ে ডাল। নারী হইয়ে রঙ্গ রূপ রাখিমু কতকাল॥ কতকাল রাখিমু যৌবন বান্ধিয়া ছান্দিয়। নিরবধি ঝোরে প্রাণ স্বামী বলিয়া॥ আমাক বিবাহ করিয়া যাও বল চলিয়া কাদে তোমার লাগি। তোমার আছে বাপ ভাই মোর অভাগিনীর কেউ নাই ৷ আমি ছেড়ে এলাম তোর রাজার কারণে। অছন। (৩) পছন। (৪) বাছিয়া বিবাহ করিল। ভাট ব্রাহ্মণ দিয়া আছন নাম থুইল। অদ্ভুনা নাম থুইল দাসী দিল সঙ্গে। এমন পীরিত ঘর ভঙ্গিমু কেমনে॥ কোন দরজায় ভিক্ষ লয়ে কোন দরজায় যামু। বাণিয়া জাতি ক্ষেত্রী কুল হেলাতে হারামু (৫) (১) বিনা। (২) তোমার নিকটে থাকিয়া আমার যৌবন বিগত হইলে এবং মস্তকের কেশ পক্ক হইলে তখন সন্ন্যাসী হইও। (৩) অছন—বড় আদরের নাম। বোধ করি আদরিণী" শব্দ হইতে “অন্থনা’র স্বষ্টি। (৪) পছন–বোধ করি ‘পদ্মাননী’ হইতে জাত। (৫) পাল-রাজারা ক্ষত্রিয় বলিয়া পরিচয় দিতেন, কিন্তু তাহদের জাতি-তত্ত্ব এখনও নির্ণীত হয় নাই। পাল-রাজাদের গান-সংগ্রহক ডিঃ মাঃ বাবু বিশ্বেশ্বর ভট্টাচার্য্য প্রমাণ করিয়াছেন, গোবিন্দচন্দ্র রাজা “রাজবংশী” ছিলেন। সাভারের হরিশ্চন্দ্র রাজার বংশধর এখনও উক্ত স্থানের নিকটবর্ত্তী কে গুণগ্রামে বাস করিতেছেন, তাহার “রাজবংশ” কিন্তু এখন “মাহিষ্ণু” বলিয়া পরিচয় দিতেছেন।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।