৫৬: - - বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। তৈলত পড়িয়া ময়ন ডুবিল গলা হৈতে (১)। আঞ্জলে আঞ্জলে তৈল মুকঠিয়া বসায় মাথে। (২) রাজার ক্রোধ। সম্রাট দেখিয়া রাজা ক্রোধবান হইল। গোলাম গোলাম বলিএ খেতুকএ গালি পাড়িল। উপরর ছাবনী মায়র লও তুলিয়া॥ নও দিন ভরিয়া জাল দেও নিদম করিয়া ৷ এক দিন দুই দিন তিন দিন হইল॥ ময়নামতীর সরিাপ ওরূপ থুইল ময়না একতর করিয়া। ধারণ | সরিষার রূপ হইল কায়য়া (৩) বদলাইয়া ৷ নও দিন অন্তরত খেতু ছাবনী উঠাইল। জননী না দেখিয়া খেতু কান্দিবার লাগিল। খেতুর নিবেদন। এই কথা জানাইল রাজার বরাবর। মা তোর করিয়া গেল যমর ঘর॥
- * * - কণর জন্তে পাগড়ী রাখিছ মস্তকর উপর। (৪)
জন্ত শোক। আমাক ছুইয়া জল না খায় বামন পঞ্চজন। মা মা বলিয়া রাজা কান্দিরার লাগিল। বিধি আমাক মা ছাড়া করিল দীননাথ রে। * - এই ছিল কপালর লেখা। — of: * ~ * মায়র সঙ্গে না হইল দেখা ৷ - মাতার অনুসন্ধান। এক মুট খোচা (৫) লইল হস্তত করিয়া। তৈলর মাঝত বেড়ায় হাস্তিয়া (৬)॥ এক হাল তুই হাল তিন হাল হইল। তিন হলির সময় গামছা উঠাইল। (১) গলা হৈতে =গলা পর্য্যন্ত। (২) হাতের মুষ্ঠিতে তৈল লইয়া নিজের মাথায় দিতে লাগিল। (৩)- কায়। (৪) তোমার মাতা মরিয়াছেন, এখন অশৌচ কাল, শিরের আবরণ ত্যাগ কর। - “... (৫) খোচা =তৈলমধ্যে অনুসন্ধানোপযোগী কঞ্চী। বোধ করি এই খোচা হইতেই পূর্ব্ববঙ্গে প্রচলিত ‘কোচ ( মৎস্ত মারিবার যন্ত্রবিশেষ) শব্দের স্মৃষ্টি হইয়াছে। - (৬) মাঝত = মধ্যে। হাস্তিয়া = হাতাইয়া = হস্তচালনা করিয়া।