খৃঃ ১১শ-১২শ শতাব্দী। Q m বৌদ্ধযুগ—মাণিকচন্দ্র রাজার গান মহামাংস লাহ ময়নার অনলর ভিতর। ষোল মরদে নও কড়াই সাইঙ্গ করিয়া। তেপর্থীত নি যায়ী তৈল ফেলাইল ঢালিয়া। ধা ধা করিয়া অনল স্বৰ্গ দেখা দিল। সরিষার রূপ হয়য়া বায় লুকাইল। (১) - অকারণে (২) থেতু কান্দিবার লাগিল। থেতুর কান্দনে ময়নার দয়া হইল। কাইন্দ ন কইন্দ না (৩) গোলাম খেতু কান্দন ক্ষেমা কর। ময়নামতীর উক্তি মুই ময়না পোড়ানা যাও আগুনর ভিতর॥ ও প্রভাব। রাজার অগ্রে দিল হাজির করিয়া ৷ এক এক করিয়া সাত পরীক্ষা দিল। সাত পরীক্ষায় ময়না উতরিয়ে গেল। ৱাজ বলে শুন ময়নামতী মা তুই। রাজার উক্তি। তুই জ্ঞান শিথিলু কোন সিদ্ধার ঠাঞি। মোক জ্ঞান শিখিবার কও কোন হাউলর ঠাঞি॥ মুই জ্ঞান শিথিলু গোরকনাথর ঠাঞি। ময়নামতীর ভক্তি। তোক জ্ঞান শিখিবার কওঁ ৪ে) খোলা হাড়ির ঠাঞি (৫) হাড়ির কথা শুনিয়া রাজা কর্ণত দিল হাত॥ - হাড়ির নিকট জ্ঞান অধর্ম্ম কথা আনিল জিহাত॥ শিখিতে রাজার জাপত্তি। হাড়ি ছার জাতি স্বেতখান (৬) নিকাইয়া না করে স্নান। বাইশ দণ্ড রাজা (৭) হইয়া করিমু হাড়িক প্রণাম॥ (১) ময়নামতী সরিষারূপ ধারণ কৰিয়া দুর্ব্বার মধ্যে লুকাইল। (২) অকারণে = এই কারণে অর্থাৎ ময়নামতীকে না দেখিয়া —> তাহার জন্ত। (৩) কাদিওনা কাদিওনা। (৪) কও=কমু=কহিব। (৫) আমি গোরক্ষনাথের নিকট জ্ঞান শিক্ষা করিয়াছি, তোমাকে খোলা নামক হাড়ির নিকট জ্ঞান শিখিতে হইবে। (৬) পায়খানা। (৭) ২২ দণ্ড সময়ে যতটা স্থান যাওয়া যায়, এত বড় স্থানের অধীশ্বর হইয়া আমি কি প্রকারে হাড়িকে গুরু বলিয়া প্রণাম করিব? গ্রাম্য কবি ২২ দণ্ডে যতটা স্থান যাওয়া যায় তাহাকেই অত্যন্ত বড় মনে করিয়াছেন, কিন্তু বাস্তবিক গোপীচন্দ্র বা গোবিন্দচন্দ্র পাল বিস্তৃত ভূভাগের অধীশ্বর ছিলেন। তাছার অধিকারের এই সীমা মূখ্য গ্রাম্য কবিকর্তৃক নির্দিষ্ট। ইহা কখনই স্বীকার্য্য নহে। o br
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।