বৌদ্ধযুগ—গোবিন্দচন্দ্রের গীত–খুঃ ১১শ-১২শ শতাব্দী। సి গুরু যাহা বতাইবে বেন দৃঢ় করি। তিরণ পল্লব হেৰ মেরু গিরি নবরী॥ (১) গুরুর বচন বাবু পাষাণর গার (২)। গুরু মিলিলে যমদণ্ড হেৰু পার। গুরু অকল্যাণ কলে নরকে গতি পাই। সপত জনম যাত্র যম নেউ থাই॥ তুক্ষ যে নরেন্দ্র বাবু বঙ্গরায় জয়। গুরু সেবা করি নাহি তু মুর্থ শরীর। বোলই গোবিন্দচন্দ্র শুনালি গো মাএ। আদ্যহু ন কহু কি পাএ ততে দিন যাত্র॥ পিণ্ড রহি বাবু এবে বুদ্ধি কহ কি না। ব্রাহ্মণ হেঁউ কি সে চণ্ডাল হেঁউ কি না ৷ যে রাখিব পিণ্ড তাকু করিবি মাননা। সদবুদ্ধি প্রবশিব করিবি ভজনা॥ বোলই মুকুতা দেই শুন রে নন্দন। রাজা সুখভোগ তেজি পারিব কি পুন। হস্তী ঘোড়া তোহর যে সম্পদ বহুত। ইহা তেজি পারিবু কি কহ মোরে সত্য ৷ নব লক্ষ বঙ্গ (৩) তোর তের শত হাতী। ষোল শত তুরঙ্গ উট শতে ছন্তি॥ বোলই গোবিন্দচন্দ্র তেজিলহি এহা। গুরু কে হইব মোতে ভেটাইব তাহা॥ - সন্ন্যাসে প্রবর্তন। সত্য সত্য মাতা মোর বচন প্রমাণ। গোবিন্দচন্দ্রের সন্ন্যাস তেজিলি সম্পদ ভোগ্য তোম্ভর চরণ॥ গ্রহণে সন্মতি। মাতাএ বৈলে বাৰু শুনরে গোবিন্দি। মায়া সংসাররে পড়ি তুহোতেছি দন্দি॥ (১) গুরু যাহা বলিবেন, তাহা দৃঢ়ভাবে গ্রহণ করিলে তৃণপল্লবের স্থায় ক্ষুদ্রব্যক্তিও মেরু-গিরির স্থায় বৃহৎ হইবে। (২) গার = গৰ্ব। (৩) নব লক্ষ বঙ্গীয় সৈন্ত। গেীরেশ্বরগণের এই নবলক্ষ সৈঙ্গের কথা আমরা ধর্ম্মমঙ্গল-কাব্যগুলির অনেক স্থলেই দেখিতে পাই।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/২১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।