পরবর্তী কালের গোবিন্দচন্দ্রের গান। రి(t ময়নামতী বলে বাছা শুন গোবিন্দাই। মায়ে পোয় যোগী হইলে জঞ্জাল এড়াই। নিষ্ঠুর দারুণ যম কারে নাই দয়। কাড়া লয় প্রাণের শুল্লা (১) পড়া রয় কায়া॥ পড়া রয় ধন জন অট্টালিকা পুরী। সভা মাঝে দিয়া ডাকা প্রাণ করে চুরি॥ “ কোন রূপে আইসে যম কোন পথে যায়। চিনিতে না পারে যমে নিকটে বেড়ায়॥ হস্তী ঘোড়া পয়দল যত দেখ আর। অনলের মধ্যে যেন ভর্ম্মেতে অঙ্গার॥ কুয়ারের (২) পানী যেন নরের জীবন। মাটীর পুত্তলি যেন সব অকারণ॥ কাষ্ঠে পোকা বিন্ধে যেন বাহুড়ে লঙ্ঘে (৩) কলা। জ্ঞানের বিনাশ মাগো বলে অবলা॥ আঠার বৎসর হইলে উনিশে মরণ। শূন্তভরে নিষ্ঠুর যম আসিবে কখন (৪)। নিদারুণ ষম আসি গলে দিবে পা। কাড়া লবে প্রাণের গুয়া কান্দিবেক মা॥ কান্দিয়া কান্দিয়া সভাই যাবে ঘরে। অভাগী জননী কান্দে যাবৎ না মরে। লহাই (৫) যৌবন পুড়া হবে ছার খার। মোর বোল শুন পুত্র মরণ নহে আর॥ যোগসিদ্ধা যোগী হয় হইবে অমর। রাজা বলে কোথা পাব সিদ্ধা কলেবর॥ ময়না বোলে বাছা শুন গোবিন্দাই। হাড়িপাকে গুরু হাড়িপা মানুষ নহে জ্ঞান তার ঠাই॥ স্বীকার করিবার জন্ত অনুরোধ। (১) শুয়৷= শুকপক্ষী; এস্থলে প্রাণের শুকপক্ষী অর্থাৎ প্রাণ; চলিত ভাষায় কখনও কখনও “প্রাণ-পার্থী” বলা হয়। (২) কুয়াষার = হিমের। (৩) চুষে। (৪) পূর্ব্বকার এক ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে গোবিন্দচন্দ্রর (গোপীচন্দ্রের ) ১৯ বর্ষ বয়সে মৃত্যু অবধারিত ছিল। সন্ন্যাস-গ্রহণ দ্বারা এই মৃত্যু হইতে অব্যাহতি পাওয়া যাইতে পারে, এই নিমিত্তই রাজমাতা ময়নামতীর পুত্রকে সন্ন্যাসে প্রবর্তিত করার জন্য এত আগ্রহ। (৫) নূতন। 38
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/২২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।