পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిశ్రీ রাজার প্রতিবাদ। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। সেই হব জ্ঞান গুরু তার সেবা কর। এত শুনি গোবিন্দচন্দর কাপে কলেবর॥ পাইশালে খাটে হাড়ি না করে ছিনান। তার ঠাই কেমনে আছএ ব্রহ্মজ্ঞান ৷ আমি রাজা গোবিন্দচন্দ্র সর্ব্বলোকে জানে। কেমনে ধরিতে বল হাড়ির চরণে॥ এত শুনি বলে তখন ময়না রাণী। হাড়ি নহে হাড়িপা বাউল ব্রহ্মজ্ঞানী॥ আমার বচন শুন হয়ে সাবধানে। ধীরে ধীরে শুন কথা হাড়িপা পাছু শুনে॥ করিবে আমারে যোগী যদি ছিল মনে। উদ্ভুনা পুছন। তবে বিভা দিলে কেনে॥ উছন করিয়া বিভা পুতুনা পাইলাম। হস্তী ঘোড়া পাইনু আর খেতুয়া গোলাম॥ অন্ত লোকের মায়ে বোলে আশীর্ব্বাদ করি। চণ্ডাল জননী বলে হও দেশান্তরী॥ ষোল দণ্ডের রাজা আমি (১) বঙ্গ অধিকারী। কেমনে হইতে বল নাছের ভিখারী (২)॥ ময়না মন্ত্রী বলে বাছা হইবে অমর। রাজা বলে তবে কেন বাপ মৈল মোর॥ ময়নামন্ত্রী বলে বাছা ঐ তাপে মরি। না শুনিল জ্ঞান কথা গেল যমপুরী॥ সকালে শুনিয়া জ্ঞান বৈকালে ভুলিল। নারী বলি হেলা করি নাহিক শুনিল ৷ (১) ষোল দণ্ডে যতটা স্থান ভ্রমণ করা যায়, ততটা স্থানের মালিক। ইহার পূর্ব্বে “২২ দণ্ডের” উল্লেখ সম্বন্ধে আমরা বাহ লিখিয়াছি, এখানে তাহাই প্রযুজ্য। গোবিন্দচন্দ্র সমস্ত পূর্ব্ব-বঙ্গের রাজা ছিলেন, আমরা রাজেন্দ্র চোলের প্রস্তর-লিপিতে ইহা জানিতে পারিয়াছি। গ্রাম্য কবি পরবর্তী সময়ে স্বীয় পল্লীর মানদণ্ড হস্তে “ষোল দণ্ডের অধিকার নির্দেশ করিয়া মনে করিয়াছেন, তিনি রাজশ্রী খুব উজ্জ্বল করিলেন। বস্তুতঃ ইহা তাহার মূর্খতার পরিচায়ক মাত্র। (২) যাহারা ভিক্ষার্জনের জন্ত নানা বেশে গৃহস্থের দ্বারে ঘুরিয়া বেড়ায়।