পরবর্তী কালের গোবিন্দচন্দ্রের গান। oసి আখি পালটিলে পাছে যমে লয়ে যায়। বসিয়া রহিলাম আমি রাত্র না পোহয় ৷ রাজার নিকটে আমি বস্তা রাত্রি শেষে। পুনর্ব্বার যমদূত দ্বারের নিকট আসে। ব্রহ্মজ্ঞান বস্ত আমি ছাড়িলাম হুহুঙ্কার। পলাইল সব দূত কেহ নাহি আর॥ সমাচার শুনি যম বুঝিলাম কারণ। শত দূত শমন পাঠান ততক্ষণ॥ ঘেরিল রাজার পুরী দূতগণ আসি। রজনী প্রভাত হুইল অস্ত গেল শশী॥ আশু পাছু হয়ে দূত নানা মায়া পাতে। শূন্তে শূন্তে বেড়ায় দূত না পায় ধরিতে॥ ধ্যান ভাঙ্গি দেখি দূত সমুখে রাজার। হুঙ্কারে পলায় দূত নাহি থাকে আর॥ সাত দিন এইরূপে দূত আইসে যায়। তোর বাপ আকুল তখন হইল ক্ষুধায়। যমদূত পাতি মায়া ক্ষুধা (১) রূপ হয়। রাজার উদরে দূত প্রবেশিল গিয়া॥ ক্ষুধায় আকুল রাজা কাপে সর্ব্বকায়। রন্ধন করিয়া রামা ভুঞ্জাহ আমায়॥ আমি কছিলাম যদি যাই রান্ধিবারে। এখনি লইয়া যম যাইবে তোমারে॥ এত শুনি কহে রাজা কর্য মোরে কোপ। যমে যারে লঙ্ঘে তার বুদ্ধি হল লোপ॥ রন্ধন করিতে গেলাম যম হৈল লুকী (২)। অন্তর হইল দূত দেখি বা না দেখি ৷ শূন্ত পথে আসি যম প্রাণ নিল কাড়া। প্রাণ-পুরুষ ছাড়া গেল কায়া রৈল পড়া॥ ধেয়ানে জানিলাম রাজা মরিল নিশ্চয়। ময়নামতীর যমালয়ে ভ্রমর (৩) হইয়া আমি গেলাম যমালয়॥ প্রবেশ। (১) পূর্ব্ববর্তী কবি মাণিকচন্দ্র রাজার মৃত্যু-কালীন তৃষ্ণার উল্লেখ করিয়াছেন। (২) লুকায়িত হওয়া। (৩) পূর্ব্ববর্ত্ত কবি ময়নামতীর নিজ রূপেই যমালয়ে যাইয়া বিবিধ রূপধারী গোদা-যমকে ধরিবার নিমিত্ত বিবিধ রূপ-ধারণের কথা লিখিয়াছেন।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/২৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।