শিবায়ন—রামকৃষ্ণ–১৭শ শতাব্দী। নাহি তার লজ্জা ভয় নাহিক বিনয় লয় গুর-গর্ব্বিতের নাহি গড়। বৈভব দেখায় ভণ্ড সভে থাকে চারি দণ্ড বাজিকর যেন করে বাজি। চিরস্থায়ী কিছু নহে সভে মাত্র ঘরে রহে সিদ্ধি বুলি ফুল তোলা সাজি। নিরঙ্কুশ স্বতন্তর ধ্যান ধরে নিরন্তর সম্ভাবনা বৃষ বলদ বৃন্দ। - রামকৃষ্ণ দাস গায় কোন গুণ নাহি তায় তে কারণে আমি হতশ্রদ্ধ॥ সতীর প্রাণত্যাগ। পাইলাম শিব আমি তপস্যার ফলে। করিল কঠোর মনিকণিকার জলে॥ জন্মে জন্মে পাব সেই চরণের রেণু। না ধরিব তোমার স্বজিত এই তনু॥ শিবনিন্দ ঔরসেতে জন্ম্যাছে শরীর। তে কারণে এ শরীর ধরিবারে ভার॥ পতি-নিন্দ শুনিয়া বিরক্ত হৈল চিত্ত। তনু-ত্যাগ পাপের হইব প্রায়শ্চিত্ত৷ বীণা বাজাইয়া তথা আইলা নারদ। বিদ্যমানে দেখিল যতেক সভাসদ॥ ক্রোধেতে জন্মিল অগ্নি ভবানীর দেহে। বসন ভূষণ সঙ্গে তন্তু তার দহে॥ বস্ত্র ব্যাপী সেই অগ্নি লিখিল পুরাণে। সতী তাহে করিলা শরীর সমর্পণে॥ শিব পাদপদ্ম মাতা করিয়া ধেয়ান। যোগাসনে অগ্নি মধ্যে তেজিল পরাণ॥ তেজিয়া শরীর শিবে হইল মিলন। শিবশক্তি দুই জল-পঙ্কজ যেমন॥ অগ্নি মধ্যে সতী যদি হইল দাহন। হাহাকার শব্দ কৈল যত পুরজন॥ দেখিয়া দক্ষের মুখ হৈলা কৃষ্ণবর্ণ। কম্পিত শরীর তৈল অন্ধকারাচ্ছন্ন॥ సి
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/২৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।