১২২ বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। সেই পুরুষের জট পরশে ব্রহ্মাণ্ড কটা ভীষণ দশন কটকটি। পায়্য। তার গোড়া তালি সুতলে কম্পিত বলি ধরা বলে অকালে উলটি ৷ করে কাল পরাক্রম কেবল যমের যম অসীম সাহস উগ্রমতি। বলে শুন প্রভু হর কে আছে তোমার পর তুমি ক্রোধ কৈলে কার প্রতি॥ আজ্ঞা দেহ তারে শাসি দেবতা গন্ধর্ব্ব ধ্বংসি অম্বর মানুষ যক্ষ নাগে। কারে বিধি হৈল বাম করহ তাহার নাম রামকৃষ্ণ দাস ভক্তি মাগে ৷ শিবের বরদান ও সসৈন্য-মহাকালের যজ্ঞ ধ্বংস। এতেক বিক্রম যদি কৈল বীরবর। ওহে মহাকাল বলি ডাকিল ঈশ্বর॥ হরিদ্বারে যজ্ঞ করে দক্ষ প্রজাপতি। যজ্ঞ ভঙ্গ করিবারে যাহ শীঘ্রগতি॥ যে দেবত হইব দক্ষের অনুবল। তাহা সভাকারে দিবে যথোচিত ফল॥ সহায় হয়েন যদি আপনি মাধব। তথাপি তোমারে তিহু হব পরাভব॥ এই বর দিল পুত্র যাহত ত্বরায়। মহাকাল সেই আজ্ঞা বন্দিল মাথায়॥ ভুষণ্ডি লুফিয়া হাতে যায় লাফে লাফে। কম্পবান বসুমতী কুলাচল কাপে ৷ প্রভু ভাবেন মহাকাল চলিল একক। নিশ্বাসেতে জন্মাইল প্রমথ কটক॥ চর্ম্মবাস পরে তারা উগ্রমূর্ত্তি জট। করে চক্র শূল সংখ্যা একশত কোটি। জটায় জন্মিল তার বীরভদ্র নামে। মহাস্থর ভয়ঙ্কর যমের সমানে॥ আজ্ঞায় ধাইল সেন পবনের বেগে। কথ মহাকালের হইল গিয়া আগে।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/২৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।