〉○8 বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। আছিল শঙ্খের সাধ চেয়েছিলাম শিবে। তোমার কল্যাণে আশা পূর্ণ হৈল এবে। দশ দিন এসেছি ছুদিন বৈ যাব। তোমার মনে কি এথা চিরকাল রব ৷ সূর্য্যের কিরণ যেন দেখ জগন্ময়। স্বর্য্যের আশ্রিত কিন্তু স্থর্য্য ছাড়া নয়। তেমতি জানিবে সয়া গৌরী আর হর। এক তিল দোহে ছাড়া নহে পরস্পর॥ শুনি ত্রিপুরার বাণী বলে ত্রিপুরারি। সই তোর কথার বালাই লয়ে মরি। শিবের পুত্রগণ সহ আহার ও দুর্গার অন্নদান। যোত্র করি পুত্র দুটা লয়ে দুই পাশে। পাতিত পুরট পীঠে পুর হর বসে॥ তিন ব্যক্তি ভোক্তা এক অন্ন দেন সতী। দুটা স্থতে সপ্ত মুখ পঞ্চ মুখ পতি॥ তিন জনে একুনে বদন হৈল বার। . গুটি গুটি দুটা হাতে যত দিতে পার॥ তিন জনে বার মুখ পাচ হাতে খায়। এই দিতে এই নাই হাড়ী পানে চায়॥ দেখি দেখি পদ্মাবতী (১) বসি এক পাশে। বদনে বসন দিয়া মন্দ মন্দ হাসে॥ শুক্ত খেয়ে ভোক্ত চায় হস্ত দিয়া শাকে। অন্ন আন অন্ন আন রুদ্রমূর্ত্তি ডাকে॥ কীর্ত্তিক গণেশ ডাকে অন্ন আন মা। হৈমবতী বলে বাছা ধৈর্য্য হয়ে খা। মূষগ মাএর বোলে মৌন হয়ে রয়। শঙ্কর শিখায়ে দেন শিথিধ্বজ কয়॥ রাক্ষস ঔরসে জন্ম রাক্ষসীর পেটে। যত পাব তত খাব ধৈর্য্য হব বটে॥ হাসিয়া অভয়া অন্ন বিতরণ করে। ঈষদুষ্ণ স্থপ দিল বেসারির পরে॥ (১) তুর্গার সহচৰী।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/২৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।