মনস-মঙ্গল—নারায়ণ দেব—১৩শ শতাব্দী। ১৮১ তবে যদি জীয়াইতে না পারি তোমারে। তবে মুঞি প্রবেশিমু তোমার চিতানলে। তোমার সহিতে যাইমু দেবের ভবন। জন্মে জন্মে তোমার আমার একই জীবন॥ কোন জন্মে কোন পাপ করিল না জানি। সেই দোষে আমারে ছাড়য়ে না জানি॥ কান্দে কান্দে বিপুল মুখেত মুখ দিয়া। অভাগী চৈতন্য পাইলুম কাল-ঘুম গিয়া॥ জাগিতে নারিল্ম প্রভু তোমাক লইয়া। তেকারণে ক্রোধ হৈল প্রভু তোমা দিয়া॥ সজাগ ঘরেতে প্রভু নাহি হয় আপদ। কারে দিয়া যায় প্রভু এতেক সম্পদ॥ নারী কুলে উৎপত্তি হইলুম ছারখার। কাল-রাত্রি দিনে হৈল প্রভুর সংহার। জাগ জাগ করি ডাকে কুমারী প্রহরী। সত্বরে জানায় মোর শ্বশুর শ্বাশুড়ী ৷ কবি নারায়ণে কহে মনসার পাএ। ভজিলে হইব সিদ্ধি যেই বর চাএ॥ কোলেত করিয়া বিপুল কন্দে উচ্চ স্বরে। বিপুলার ক্রন্দন শুনি বৃক্ষের পাত ঝরে॥ পাষাণ বিদরে আর বিদরে মেদিনী। সর্ব্বদাএ ঝরে তবে দুই নয়নে পানী॥ বৃক্ষের পাতা খসি পড়ে পাষাণ বিদরে। বিলাপএ বিপুল লখাইরে লইয়া ডরে (১)॥ স্বামী ব্রহ্মা স্বামী বিষ্ণু স্বামী ঈশ্বর। স্বামী সে সকল কর্তা স্বামী মহেশ্বর॥ স্বামী সে দেবতা মোর স্বামী সে সকল। স্বামী বিনে নারীর যে জীবন বিফল ৷ স্বামী স্বর্গ স্বামী সত্য পরলোকে গতি। স্বামী তুষ্ট হৈলে হয় দেবের পীরিতি। স্বামী বিদ্যমানে জান মরে যার নারী। স্বৰ্গপুরে যায় সেই হইয়া বিদ্যাধরী॥ (১) ভয়ে।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৩০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।