পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনসা-মঙ্গল—বিজয় গুপ্ত – খ্রঃ ১৫শ শতাব্দী। ১৮৭ দুই হাতে তাড় (১) দিল দেখিতে শোভন। শঙ্খের সম্মুখে দিল সুবর্ণের কঙ্কণ। পায় খাড় (২) দিল আঙ্গুলে পাগুলি। পরম সুন্দরী যেন সোণার পুতলী॥ চক্ষুতে কাজল দিল যেন নীলোৎপল।. নাসিকা নির্ম্মাণ যেন দেখিতে তিলফুল ৷ মৃগমদ মিশাইয়ে চন্দন দিল গায়। কনক নুপুর দেবী তুলিয়া দিল পায়। পদ্মাবতীর বিয়া হবে দেবে বলে ভাল। লাচারী প্রবন্ধে ভাই বল এই কাল॥ দুর্ব্বাসার শাপে শ্রীভ্রষ্ট দেবরাজ। শ্রীহীন ইন্দ্র রাজার হইলেক যদি ৷ বিবর্ণ হইল তবে যতেক মোছদী (৩) ৷ পৃথিবীর মধ্যে যদি কেহ করে যাগ। অম্বরে হরিয়া আনে দেবেরে না দেয় ভাগ॥ মুনিগণে তপোবন ছাড়িল সকল। সেই হইতে কল্পতরু নহি ধরে ফল। দান ধর্ম্ম তপ যজ্ঞ সব হৈল নাশ॥ লক্ষ্মীর মাত্র অংশ নাহি ইন্দ্রের সদন। বলে বর্জিত হইল যত দেবগণ॥ কুসুম বিহীন হৈল নন্দন কানন। সেই হৈতে গন্ধ-হীন হইল চন্দন॥ ব্রহ্মশাপে ইন্দ্রের টুটিয়ে (৪) আসে বাদ। হুর্য্যের কিরণ নাঞি তেজ নাঞি চাদ॥ (১) তাড় = প্রাচীন সময়ে বাহুতে ব্যবহৃত অলঙ্কার-বিশেষ। এই তাড়েরই পরিবর্তে এখন অনন্ত, তাবিজ ইত্যাদি চলিত হইয়াছে। এখনও দুর্গোৎসব, হামা-পূজা ইত্যাদিতে অনেকে তাড় দিয়া থাকেন। (২) এই অলঙ্কার এখন প্রায় লুপ্ত হইয়াছে, তবে পূর্ব্ববঙ্গের কোন কোন স্থানে নিম্নশ্রেণীর মধ্যে দেখিতে পাওয়া যায়। (৩) মোছদী =পারিষদবর্গ; এখানে অপর দেবতাগণ। (৪) হ্রাস পাইয়া।