মনসা-মঙ্গল—বিজয় গুপ্ত – খ্রঃ ১৫শ শতাব্দী। brసి শুন মাতা ভগবতী পর্ব্বত-দুহিত। পাষাণ তোমার কায় জানিনু সর্ব্বথা॥ এমন অশক্য কথা কোন জনে বলে। আপন কন্যাকে নিজে ফেলে ভূমিতলে। হাসেন হুসেনের পালা। দক্ষিণে হোসেন হাটি গ্রামের নিকট। তথায় যবন বসে দুই বেটা শঠ॥ হাসন হোসেন তারা দুই ভাএর নাম। দুই জনে করে তারা বিপরীত কাম॥ কাজিয়ানী করে তারা জানে বিপরীত। তাদের সম্মুখে নাঞি হিন্দুয়ানী রীত। হিন্দুগণের প্রতি অত্যাচার। এক বেটা হালদার তার নাম দুলা। বড় অহঙ্কার করে হোসেনের শালা॥ সর্ব্বক্ষণ হোসেনের আগে আগে আসে। তাহার ভয়ে হিন্দু সব পলায় তরাসে॥ যাহার মাথায় দেখে তুলসীর পাত। হাতে গলে বান্ধি নেয় কাজির সাক্ষাৎ॥ বৃক্ষতলে থুইয়া মারে বজ্র কিল। পাথরের প্রমাণ যেন ঝড়ে পড়ে শিল॥ পরেরে মারিতে কিবা পরের লাগে ব্যথা। চোপড় চাপড় মারে দেয় ঘাড়কাত (১)॥ যে যে ব্রাহ্মণের পৈতা দেখে তারা কান্ধে। পেয়াদ বেটা লাগ পাইলে তার গলায় বান্ধে ৷ ব্রাহ্মণ পাইলে লাগ পরম কৌতুকে। তার পৈতা ছিড়ি ফেলে খু দেয় মুখে॥ ব্রাহ্মণ সুজন তথায় বসে অতিশয়। গৃহদ্ধর (২) গোময় না দেয় দুৰ্জ্জনের ভয়॥ তকাই নামে মোল্লা কেতাব ভাল জানে। - কাজির মেজমান (৩) হইলে আগে তারে আনে॥ (১) ঘাড়ধাক্কা। (২) প্রধান ঘর। (৩) মর্জি =ইচ্ছা।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৩১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।