মনসা-মঙ্গল—বিজয় গুপ্ত – খ্রঃ ১৫শ শতাব্দী। సి( সাজিয়া গোয়ালিনী বেশ চলিল শঙ্কুর-দেশ কপটে বধিতে ধন্বন্তরি। ছন্দে বন্দে বান্ধে থোপা পৃষ্ঠেতে পাটের থোপ শ্রবণে সোণার মদন-কড়ি॥ সুবর্ণ অলঙ্কার গায় চলন্ত নূপুর পায় উল্লাসে পরিল পাটের সাড়ী। চন্দন লেপিয়া অঙ্গ কপালে তিলক রঙ্গ . মুখে পাণ করে থল থলে। মাণিক্য দোসর জ্যোতি গলায় শোভিছে পাতি নয়ন ভরিল কাজলে॥ বল্লভ দুই কুচ ভার হৃদয়ে মুকুতা হার দুই পায় পরিল পাশলি। কাছিয়া কাপড় পিন্ধে রূপে কামদেব নিন্দে দধির পসার লইয়া চলি ৷ পদ্মাবতী কুতূহলে। খঞ্জন-গমনে চলে যথা ওঝা ধন্বন্তরি থাকে। দাড়াইয়া ওঝার পাশে আড়ি নয়নে হাসে দধি লবা ঘন ঘন ডাকে॥ শঙ্কুর-গারুড়ী ( ধন্বন্তরি ) কৃত দর্প। পদ্মা কিসেরে সাজাইলা বিষ-দধি। কেবা তোরে দিল হেন বুদ্ধি॥ গোট কত নাগ পোষ তে কারণে লোকে ঘোষ বিবাদে আগল (১) বিষহরী। আমি বিষ খাইলে না মৰি॥ কি কহিব আপন কথা মহাজ্ঞান দিল নেতা তে কারণে অজর অমর। সাপ খাম (২) বিষ পেম (৩) চারি যুগে মুঞি জীম (৪) যমের ভয় নাহিক আমার॥ (১) অগ্রসর। (২) খাইব। (৩) পান করিব। (৪) জীবন ধারণ করিব।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৩১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।