ミ?、 সোণকাকে প্রবোধ-দীন। তারাপতি কর্ম্মকারের প্রতি আদেশ। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। তার পাছে বাওয়াইল নৌক আজেল কাজেল। বঁাকে বাকে রহিয়া খায় শতেক ছাগলা॥ একে একে চৌদ্দ ডিঙ্গা চালাইল সত্বর। ডিঙ্গা চালান করে সাধু গঙ্গাসাগর॥ বিবাহের রাত্রে লক্ষ্মীন্ধরকে কালসৰ্পে দংশন করা নির্দিষ্ট ছিল। এই আশঙ্কায় চাদসদাগর লৌহের বাসর-ঘরে লক্ষ্মীন্ধর ও তাহার স্ত্রীকে সেই রাত্রের জন্ত রাখিয়া দিয়াছিলেন। লোহার বাসর নির্ম্মাণ। লোহার মন্দির ঘর করিব গঠন। তাহার মধ্যে রজনীতে থুইব দুই জন॥ স্বামীর কথায় সোণকা খানিক হৈল স্থির। সোণার আবাস হত্যে চাদ হইল বাহির। বিপরীত (১) কর্ম্ম করিতে চাদ ভাল জানে। চৌদ্দ শত কর্ম্মকার ডাক দিয়া আনে॥ তারাপতি কর্ম্মকার সকলের প্রধান। অধিক গুণ তাহার জানে সর্ব্ব কাম॥ দীর্ঘ দীর্ঘ হাত পা মাথায় ঝাটা চুল। ডান হাতে হাতুর বাম হাতেতে তুল ৷ পিঙ্গল মাথার চুল বেকা কাকালি। নাকে মুখে চক্ষুতে লাগিয়াছে কালী ৷ চাদ বলে শুন বাক্য কর্ম্মকার ভায়া। যে যে বাক্য বলি আমি শুন মন দিয়া॥ বিয়াতে (২) লখাই আজি যাইবে উজানী। ছল পাইয়া ছলে পাছে লঘুজাতি (৩) কাণী॥ মোর ঘরে আসিয়া বলিছে বীর দপে। বিয়ার রাত্রে লক্ষ্মীন্ধর দংশিবে কালসপে। ঘরে বসি নেমক খাও কিছু নাহি তার। আজি সে জানিব ভাই চাতুরী তোমার। স্ত্রী পুত্রের দয়া থাকে প্রাণে থাকে ডর। সবে মিলি কর ঘর লোহার বাসর॥ (১) অসমান্ত। (২) বিবাহোগলকে তে নীচজাতি।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৩২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।