বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। চলিল চাদর কটক করি পরিপাটী। হাতে করিয়া আনিতে পারে উজানীর মাটী ৷ চলিল চাদর কটক কহন না যায়। এক মুখে লেখা দিতে লাগে মাস ছয়॥ বেহুলার শোক। কারে বিধি হেন করে। বিধির মনে ইহা ছিল। বিয়ার রাত্রে স্বামী মরে॥ সুখের ঘরে আগুন দিল॥ মধুকর উড়ে গেল। . ছিলাম বড় আদরিণী। শুধা কমল পড়ে রৈল ৷ হৈলাম পথের কাঙ্গালিনী॥ অঞ্চলের মাণিক্য ছিল। বিয়া কৈল রাজার স্থত। অকুলে খসিয়া পৈল। বেভার দিল কলার মূল। (১) আমার বিয়া হৈল বাপের বাড়ী। রাড়ী হৈলাম শ্বশুর-বাড়ী ৷ আরে আরে আরে ও বাপ মালী রে। কলার মাজুষ গড় দেখিতে সুন্দর বড় প্রভূ লয়ে ভাসিব গাঙ্গরী। সোনকার সপ্ত পুত্র সর্পদংশনে প্রাণত্যাগ করিয়াছিলেন। বেহুল বক্ত সাধনার ফলে তাহাদিগকে পুনর্জীবন দান করিয়াছেন। সোণকার সহিত মৃত পুত্রগণের মিলন। নৌকার আগে দাড়াইল লখাইরা সাত ভাই। দেখিয়া সোণেকা রাণীর আনন্দের সীমা নাই ৷ করে আগে কোলে লবে বলে বারেবার। সকলের কনিষ্ঠ আমার বীর লখীন্ধর॥ রাণী বলে রহ রহ তোমরা ছয় ভাই। আগে আমি কোলে করি সুন্দর লখাই॥ লখাই লখাই বলি রাণী ডাকে বারেবার। কোলে আসি লক্ষ্মীন্ধর কোল যুড়ায় আমার॥ বেহুলা বধূর গুণের কথা না যায় কহন। যার হেতু দেখিলাম পুত্র সাত জন। (১) কলাগাছের মূল অভক্ষ্য —অর্থাৎ রাজার পুত্র বিৰাহ করিল সত্য, কিন্তু কোন লাভই হইল না।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৩২৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।