ミ>6 বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। নীল কমল সব দেখিতে সুন্দর। মধুলোভে উড়ে পড়ে গুঞ্জরে ভ্রমর॥ ংস সারস চক্রবাক যোড়ে যোড়ে। বৃষ গোটা বান্ধিলেন শ্রীফলের গোড়ে॥ মরকতে বান্ধা ঘাট ফটিকের সিঁড়ি। বান্ধিয়াছে সুবর্ণে প্রতি গাছের গোড়ী। দেবের বিহার-স্থান অতি মনোহর। বিরাজিত মদন বসন্ত-সহচর॥ মহামায়ার মায়ায় মোহন সে বন। দেখিয়া তরুণ হৈল শঙ্করের মন॥ দ্বিজ বংশী দাসে গায় ভাব শুদ্ধমতি। সকলের কল্যাণ করুক পদ্মাবতী॥ পদ্মার রূপ-বর্ণন। সাঙ্গে পদ্মা অন্তরে কৌতুক। একে তন্তু সুলক্ষণ তাতে রত্ন আভরণ প্রকাশ করিল তিন লোক॥ কেশে শোভে পারিজাত রতন মুকুট তাত শোভিয়াছে সিন্দুর কপালে। পদ্ম-বদন আঁখি কজ্জলে উজ্জল দেখি কটাক্ষে মুনির মন ভোলে ৷ মণিময় কর্ণ-ফুলী তদুপরে চক্রাবলী গণ্ড-যুগে ঝলকে বিজলী। গলে গজমুক্ত হার তাতে গ্রীবাপত্র আর নাসা অগ্রে মুকুতা আবলী। কনক বাহুট (১) করে লক্ষ্মীবিলাস শঙ্খ পরে কধুলী ঢাকিছে পয়োধর। ক্ষীণ কটিদেশ বেড়ি পরে গঙ্গাজলী সাড়ী পরণী উড়ণী মনোহর। চরণে নুপুর সাজে রুণু ঝুণু বাস্ত বাজে উদ্ভূট (২) পরিল রত্নময়। দ্বিজ বংশী দাসে ভণে সাজাইল সখীগণে যেন চন্দ্র আকাশে উদয়॥ (১) বাউট = এক প্রকার হস্তের অলঙ্কার। (২) চুটুকি।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৩৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।