মনসা-মঙ্গল—দ্বিজ বংশীবদন—১৬শ শতাব্দী ৷ রন্ধন। চান্দর আদেশ জানি চলিল সোণাই রাণী করিবারে রন্ধন সত্বর। যাব অতি দূর দেশে কত দিনে ফিরি আসে না জানি ঘরেত সদাগর॥ ঘাটঘিলা (১) দিয়া স্নান - করি বস্ত্র পরিধান রাধিবারে যায় সুবদনী। বণিক্য ছকুড়ি ঘর জ্ঞাতি গোত্র সহোদর ভোজন করিব হেন জানি॥ কালী কাজলী বালী তেড়ার ভগ্নী মেখলী দুর্ব্বলী যে লেঙ্গার ভগিনী। পঞ্চজন দাসী ধায় কেহ সজ্জ যোগায় কেহ হস্তে চালায় বিজনী॥ কেহ মৎস্ত মাংস কাটে কেহব হরিদ্র বাটে কেহ ব্যঞ্জনের সজ্জ করে। দুগ্ধ আবর্ত্তন করি কেহ রাখে সারি সারি গুড় চিনি নানা উপহারে॥ এক মুখে দেয় জাল নব মুখে জলে ভাল বসাইল নগোটা পাতিলী। (২) নব ব্যঞ্জনের তরে বসাইলা একেবারে সন্তারিল তৈল ঘৃত ঢালি॥ প্রথমে নালিত শাকে রান্ধিলেক তৈল-পাকে কচু শাকে নারিকেল কাটি। সাঞচ শাক স্বতে ভাজে আদা দিয়া তার মাঝে মাট শাক (৩) জিরা লঙ্গ বাটি॥ পালই (৪) শাক বসায়া ভজে তারে স্কৃত দিয়া পরে দিল মরিচ লবঙ্গ। নাড়িতে বিজ্জল ছুটে খর জালে ধুয়া উঠে ঘামে সোণার বিরস বদন॥ (১) স্ত্রীলোকদের গাত্র-পরিষ্কারক এক প্রকার ফল। (২) নয়ট পাতিলী (হাড়ী) বসাইল। (৩) মেথি শাক। (৪) পালই =টেকুর শাক। ૨૨ છે
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৩৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।