২৬০ বেহুলার বেশ ও লজ্জা। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। সুনীলা সুভদ্রা নীলা বাণের তনয়। চিত্রাবতী কৌশল্যা আইল বিজয়॥ রুক্মিণী রোহিণী রতি সতী সত্যভামা। পার্ব্বতী তুলসী নারী আর তিলোত্তম ৷ তার হীরা আইল আর যশোদা যমুনা। হীরা নীলা হরিপ্রিয়া সর্ব্বশী মদন॥ আইল ইন্দ্রাণী নারী শচী রূপকলা। প্রসন্ন বদন সভে সোহাগ কমলা॥ দৈবকী দ্রৌপদী কুন্তী আইল রমণী। সীতা গঙ্গা মুলোচনা ভরত-জননী॥ যতেক রমণী সঙ্গে চপল গমন। এক চক্ষে কোন জন দিয়েছে অঞ্জন॥ অপর অঞ্জন দিয়ে ত্বরা করি সাজে। এক পদে পাসলি কেহ তাড় অৰ্দ্ধভূজে | * * কেহ নাঞি হার গলে। এক কর্ণে কর্ণপূৰ্ব বিপরীত দোলে। (১) নগরে নাগরী যত আইল ত্বরাতরি। বেহুলার রূপ (২) তারা সভে মেলি করি॥ হরিদ্র বাটিয়া দিল বেহুলার গায়। নারায়ণ তৈল দিল তাহার সি থায়॥ সোণার চিরণী দিয়া আচড়িলা কেশ। বিবিধ বিধানে তার সভে করে বেশ॥ কুন্তল বান্ধিল তার মুকুতার ডোরে। নবীন জলধর যেন জিনি শশধরে॥ লক্ষ্মীরূপা বেহুল লক্ষণ আছে ভাল। পূর্ণিমার চন্দ্র যেন মুখ কৈল আলো। নানা আভরণ পরে যেখানে যে সাজে। রতন পাসলি দিল চরণ-পঙ্কজে ৷ শুভক্ষণে দুই জনে গন্ধ অধিবাস। ক্ষেমানন্দ বলে দেবি রিপু কর নাশ॥ (১) কৃষ্ণের বঁাশ শুনিলে গোপীগণের এই ভাব হইত, বৈষ্ণব পদে এরূপ অনেক স্থানে বর্ণনা আছে। ভাগবতে এই ভাবের কবিতার প্রথম স্বচনা দ্রষ্টব্য। (২) বেশ। -
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৩৮২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।