মনসা-মঙ্গল – রামবিনোদ–১৭শ শতাব্দী ৷ Հե-Տ তার পাছে পরে কাপড় নাকর মঞ্জাফুল (১)। যাহার স্থতার তোলা পঞ্চাশ টাকা মূল। দশীর (২) দিগে লেখা আছে দশ গিরিআ বন। কুপের দিগে লেখা আছে কালার বৃন্দাবন॥ কানাইর বৃন্দাবনে বালকে বাশী বাএ। সে সকল গোপাল কৃষ্ণের তাম্বুল যোগায়॥ সে কাপড় পরিয়া বালি আগে পাছে চায়। মনোরম্য নহে কাপড় পেটারি পূরায়॥ তাহার পাছে পরে সাড়ী নামে অগ্নিফুল। কাপড়া সুন্দরী হে হইল সমতুল॥ সে কাপড় পরিয়া বালি আগে পাছে চায়। মনোরম্য হইল কাপড় নাচিয়া বেড়ায়॥ খোল মৃদং লইল সাজন করিয়া। চলিল সুন্দরী কন্ত যাত্রা করিয়া॥ জগজীবন কবি মনসার দাস। পদ্যছন্দে পাচালী করিল প্রকাশ ৷ রামবিনোদ। রামবিনোদের কোন পরিচয় পাওয়া যায় নাই। পুথির হস্তলিপি প্রায় ১৫০ বৎসরের প্রাচীন। মালিনীর বেশে মনসা-দেবীর শঙ্কুর নগরীতে প্রবেশ। মালিনীর বেশ ধরি ফুলের পসার করি চলে দেবী শঙ্কর-কুমারী। বেশ করে নানা ছান্দে সফরিয়া সাড়ী পিন্ধে যাএ দেবী শঙ্কুর নগরী। ধরিয়া মোহন বেশ করিয়া চিরণী কেশ কবজ বান্ধিল কুণ্ড দেখি। প্রকাশিত মুখ ইন্দু কপালে তিলক-বিন্দু অঞ্জনে রঞ্জিত আখি দেখি॥ (১) মঞ্জ = মুঞ্জ = কুশ; অর্থাৎ কুশ-কুসুমের তুল্য মুকোমল 3 현 | (২) বস্ত্রাগ্রের লম্বা স্থতাকে “দশা’ বা “দশ" বলে। এখানে কাপড়ের পার। óፃ
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৪১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।