মনসা-মঙ্গল—দ্বিজ রসিক—১৮শ শতাব্দীর শেষ ভাগ। ২৯৫ অঙ্গীকরি কপিরাজ শ্রীরামের কৈলে কাষ সীতার বার তা যেই আনে। সমুদ্র লঙ্ঘন করি পোড়াইল লঙ্কাপুরী কলার মানদাস সেই টানে॥ মনসা-দেবীর কৃপায় বেহুলার নেতা-ধোপানীর ঘাটে প্রবেশ। পেঞ রামা উপদেশ দূর গেল দুঃখ ক্লেশ তিন ধারা চক্ষে তিন বার। মিষ্ট লবণ জল দুই ধারা সুশীতল আর ধারা লাগে যেন থার॥ পাইয়া খারাণীর নীর মানদাস চালান ধীর অনাহারে অঙ্গ টলবল। - মুখে না নিঃসরে বাণী ক্ষীণ হৈল তনুখানি বেহুলার দুঃখে মনস বিষহরী জানিল সকল॥ দেবীর কষ্ট। বেহুলার নাই সুখ মনসা ভাবেন দুঃখ দাসী বাছ আহা মরি মরি। পতি জীয়াবার আশে ছয় মাস জলে ভাসে ধন্য ধন্ত বেহুলা সুন্দরী॥ অন্তরীক্ষে দেবী থাকি হনুকে আনিল ডাকি হনুর প্রতি আদেশ। শুন বীর শ্রীরামের দাস। বড় দুঃখ বেহুলার দেখিতে না পারি আর টেন্তা আন কলার মানদাস॥ অবিলম্বে হন বীর লম্ফে লম্ফে ধীরে ধীর রাখে লঞা ধরণীর কাছে। তবে হুনু কপিবর গেলেন আপনার ঘর মান্দাস বান্ধিয়া ঝাউ গাছে॥ মাথায় সোণার পাট (১) নেতা এস্তে সেই ঘাট কাচিবারে দেবতার বসন। দুই পুত্র সঙ্গে ধায় শ্রীকৰিবল্লভ গায় বেহুলা না করে নিরীক্ষণ। (১) যাহাতে কাপড় কাচ হয়।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৪১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।