যত যুগ গেল তবে ব্রহ্মার উদ্ধরণে।
তখনে আছিলাও আমি মন্ত্র ধিয়ানে॥
মন্ত্র ধিয়ানে আমি ভাল পাইলাঙ বর।
চৌদ্দ যুগের কথা শুন আমার গোচর॥
চৌদ্দ যুগের কথা তুমি শুন নৈরাকার।
ই তিন ভুবনে পাতকী নাহি আর॥
সম্মুখে রচিল গোসাঞি পদ্মফুল।
তাহাতে বসিয়া গোসাঞি জপে আদ্য মূল॥
নানা পত্র বাহ্যা গেল এ তিন ভুবন।
পাতাল ভুবন লাগি করিল গমন॥
দ্বাদশ বৎসরে মৃত্তিকার লাগি পাইল।
হস্ত করি মৃত্তিকা শরীরে বুলাইল॥
বাটুল প্রমাণ মৃত্তিকা হস্তেত করিয়া।
শূন্যাকারে ধর্ম্ম গোসাঞি উঠিল ভাসিঞা॥
পুনরপি আসিঞা পদ্মেত কৈল ভর।
মনে মনে চিন্তে গোসাঞি ধর্ম্ম নৈরাকার॥
মনে মনে চিন্তে তবে ধর্ম্ম অধিপতি।
কার উপর স্থাপিব নির্ম্মল বসুমতী॥
আপনে ধর্ম্ম গোসাঞি গজমূর্ত্তি হইল।
গজের উপরি বসুমতীকে স্থাপিল॥
গজ সহিতে নারে পৃথিবীর ভার।
গজ সহিতে পৃথিবী যায় রসাতল॥
টানিঞা ছিঁড়িল গলার কনক পৈতা।
এক গোটা নাগ হৈল সহস্রেক মাথা॥
নাগের নাম বাসুকি থুইল নিরঞ্জন।
তাহাকে ধরিতে আজ্ঞা ই তিন ভুবন॥
যাও যাও বাসুকি হউক চিরাই।
আমি যাকে জন্ম দিব তাকে দিও ঠাঞি॥
গান করে দেবীর ব্রত সুখী সর্ব্বজয়া।
যে ঘাটে অবতার করিবে মহামায়া॥
দেবীর চরণে মাণিক দত্তে গায়।
নায়কের তরে দুর্গা হবে বরদায়[১]॥
- ↑ বরদাত্রী।