বারিমধ্যে পদ্মপুষ্প ফুটিছে বিস্তর।
উড়ে পড়ে কেলি করে পক্ষী জলচর॥
রাজহংসগণ চরে দেখিতে সুন্দর।
কনক-কমল-দলে পড়িছে ভ্রমর॥
মৃণাল খাইতে তাতে নাম্বিছে কুঞ্জর।
ঘোর নাদ করে তাতে শুনি ভয়ঙ্কর॥
সারথি করিল রথ কাঞ্চনে নির্ম্মাণ।
নানারূপ করে তাতে পুষ্পের উদ্যান॥
নেহালী বান্ধুলী যূতী মল্লিকা টগর।
লবঙ্গ মাধবীলতা চাঁপা নাগেশ্বর॥
তমাল রঙ্গন পুষ্প মালতী সুন্দর।
স্থলপদ্ম পারিজাত যূথী মনোহর।
কেতকী ধাতকী দলা জবা করবীরে।
পদ্ম পারিজাত কুন্দ রঙ্গন সুন্দরে॥
নানা পুষ্প উদ্যানে রোপিল মনোহর।
সৌরভ ধাইল তার এক প্রহর॥
রত্নময় রথখান করিল সাজন।
যত অস্ত্র তোলে তাহা না যায় লিখন॥
হেন মতে দিব্য রথ করিয়া সাজন।
সাক্ষাৎ করিল যথা ধূম্রলোচন॥
সুরথরাজার দুর্গাপূজার জন্য দেবীর মন্দির নির্ম্মাণ।
সঙ্গে লয়ে শিল্পিগণ বিশ্বকর্ম্মা দিল মন
অম্বিকার দেহরা নির্ম্মিতে।
নানা বর্ণে আনি শিলা দেউল[১] নির্ম্মাণ কৈলা
শিল্পিগণ লয়া সাবহিতে॥
চারি প্রহর রাতি জ্বালিয়া রত্নের বাতি
জাগরণে করে নিরমাণ।
নানা রূপ কৈল তাথে আপনার মনোরথে
শিরে ধরি অভয়া-চরণ॥
- ↑ দেবালয়।