খণ্ড খণ্ড করি শিলা নানা রত্ন আরোপিলা
তার মধ্যে মধ্যে দিল শিলা।
নীল কৃষ্ণ শ্বেত রক্ত তাহাতে সুবর্ণ বেক্ত
পঞ্চ বর্ণ কৈল নিযোজনা॥
দেউল উপর ভাগে পঞ্চ বর্ণ তাতে লাগে
কনক কলস লাগে চূড়ে।
তাহাতে পতাকা নেতে কৃষ্ণ বর্ণ বাস তাতে
পবনে সমূলে তাহা উড়ে॥
নানারূপে বেড়া কৈল তাহাতে দর্পণ দিল
হীরা মতি কাঞ্চন সহিতে।
দেখিতে সুন্দর তায় নানারূপে নিরমায়
শিল্পিগণ লয়া সাবহিতে॥
দেউলের চারি দ্বার রূপে খণ্ডে অন্ধকার
কনক কপাট চারি দ্বারে।
তাথে দিল বহু ধন যেন সূর্য্য-কিরণ
সন্তোষ করিতে অম্বিকারে॥
দেউলের মধ্য ভাগে নানা বর্ণে শিলা লাগে
প্রতিমা স্থাপিতে বেদী কৈল।
তাহার সমুখে কৈল মণ্ডলের বেদী হৈল
বহুধন তাথে লাগাইল॥
পাষাণে নির্ম্মায় ঘর এক শত মনোহর
দেউলের পশ্চিম ভাগেতে।
তাহাতে সুসজ্জ কৈল নানারূপে নির্ম্মাইল
রচনা বান্ধিতে বিধিমতে॥
দেউলের পূর্ব্বে কৈল হোমশালা নির্ম্মাইল
নানা রত্নে বিচিত্র নির্ম্মাণ।
বিধিমতে মুণ্ড করে সূত্র ধরি মধ্য ঘরে
বিশ্বকর্ম্মা হয়া সাবধান॥
দক্ষিণেত দিল মন সঙ্গে লয়া শিল্পিগণ
নাট-শালা করয়ে নির্ম্মাণ।
পাথরে করিল ঘর দেখি তাহা মনোহর
শিরে ধরি অম্বিকা-চরণ॥
বসিতে সর্ব্বজন কৈল দিব্য ভবন
নানা বর্ণে পাথরে নির্ম্মিল।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৪৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০৮
বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়।