৩২২ বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। ছাড় উপহাস হব সর্ব্বনাশ তোমা ধর্য লৈয়্যা যাব ৷ উজয়নি ধাম ধনপতি নাম নৃপতির সাধু আমি। পায়রা লইয়া যাবে পলাইয়া হেন মনে কর তুমি ৷ সাধু এত কর পায়্যা পরিচয় খুল্লন চাহিল হেটে। কন্ত ছিল নাঞি জাঠার জাঙাঞি (১) ধনপতি সাধু বটে। খুল্লনা সুন্দরী পরিহাস করি হাসি হাসি কহে কথা। মোর ঠাঞি হৈতে কেবা পারে নিতে কাহার মাথায় মাথা॥ মাধবাচার্য্য। দ্বিজ মাধবানন্দ ১৫৭৯ খৃঃ অব্দে তাহার চণ্ডী-কাব্য সমাধা করেন। ইহার বিবরণ “বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের” ৪১৭–৪২২ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য। ফুল্লরার বারমাসী। জ্যৈষ্ঠ মাসেতে শুন যত মোর দুঃখ। কহিতে সে সব কথা বিদরয়ে বুক। প্রচণ্ড রবির তাপে দহে কলেবরে। ললাটের ঘর্ম্ম মোর পড়ে ভূমি পরে॥ সবিনয় বাক্য মোর শুন লো সুন্দরি। কোন সুখের লাগি হইবা ব্যাধের নারী॥ আষাঢ়ে রবির রথ চলে মন্দগতি॥ ক্ষুধাএ আকুল হয়্যা লোটাই আমি ক্ষিতি॥ ক্ষণে উঠি ক্ষণে বসি চারি দিগে চাই। হেন সাধ করে মনে অন্ত বনে যাই॥ শ্রাবণ মাসেতে ঘন বরিখে ঝিমানি। মাথা থুইতে স্থান নাই ঘরে হাটু পানী॥ শীতের কারণে গৃহে বেড়াই চারি কোণে। মাণের পত্র মাথে দিয়া বঞ্চি দুই জনে॥ (১) খুল্লনার পরলোক-গত জ্যেষ্ঠ ভগিনীর স্বামী।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৪৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।