‘LLස লহনার হস্তে খুল্লনার নানারূপ দুৰ্গতি। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। পরিধান ক্ষৌমবাস লুকাল মুখের হাস অশ্রজল শ্রবয়ে নয়নে॥ নিজ অন্তঃপুরে থাকি ছেলী চালায় ইন্দুমুখী পাচনি লইয়া বাম করে। রাখিতে নারে আগলি চলয়ে সকল ছেলী প্রবেশিল নগর ভিতরে॥ নগরিয়া ইতরগণে অনিমিথে নয়নে নিরথি খুলনার রূপ চায়। কেহ বলে কার নারী কেন বা এমত করি কাহার রমণী কোথা যায়॥ রামা হেটমুণ্ডে র্কাদে কাতরে উত্তর না দে ভুজ দিয়া কুচের উপর। কাজলী ধবলী বলি চালায়ে সকলি ছেলী এড়াইল নগরিয়া ঘর॥ সিঙ্গাপুর এড়াইয়া বিনোদপুরেতে গিয়া ছাগল চলিল নানা স্থান। পাল খেদাইতে নারে আছাড় খাইয়া পড়ে ঘন ঘন স্মরয়ে শমন॥ (১) ক্ষণে ছেলী আগলি চালায়ে সকল ছেলী ক্ষণে লোটায় তরুর ছায়ায়। বেলা হৈলে অবসান ভয়েতে আকুল প্রাণ নিজ গৃহে ছেলী নিয়া যায়। খুলনা গৃহুেতে গিয়া ছেলী সব গণি দিয়া অজাশালে তুলি দিল পাল। দৃঢ় বাড়ি দিয়া দ্বারে বান্ধে নানা প্রকারে বাহিরে দিলেক ধূমাজাল॥ খুলনা বাধিল ছেলী নিয়া অজাশালে। শালের পাতে লহন ক্ষুদের অন্ন ঢালে ৷ অল্প অন্ন দিল তাতে পোড়াই বহুল। এক পাশে ঢালি দিল পাকা কলার মূল। অন্ন দিয়া লহনা হাতে ত ধরি পাত। খুলনারে দিল নিয়া ঢেকিশালে ভাত॥ - (১) পুনঃ পুনঃ মৃত্যু কামনা করে |
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৪৫৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।