ව89 বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। খুড়া! খুড়া! ডাকে কালকেতু। কোথা হে বণিকরাজ বিশেষ আছয়ে কাষ আমি আইলাম সেই হেতু॥ বীরের বচন শুনি আসিয়া বলে বেণ্যানী আজি ঘরে নাহিক পোদ্দার। প্রভাতে তোমার খুড়া গিয়াছে খাতক পাড়া কালি দিবে মাংসের উধার॥ আজি কালকেতু যাহ ঘর। কাষ্ঠ আন এক ভার হাল বাকী দিব ধার মিষ্ট কিছু আনহ বদর ৷ শুন গো শুন গো খুড়ী কিছু কার্য্য আছে দেড়ী ভাঙ্গাইব একট অঙ্গুরী। আমার জোহার (১) খুড়ী কালি দেহ বাকী কড়ি অন্য বণিকের যাই বাড়ী ৷ বাপ এক দণ্ড কর বিলম্বন। সাহান্ত বদনে বাণী বলে বেণে নিতস্বিনী দেখি বাপা অঙ্গুরী কেমন॥ - ধনের পাইয়া আশ আসিতে বীরের পাশ ধায় বেণে খিড়কীর পথে। মনে বড় কুতূহলী কান্ধেতে কড়ির থলী হরপী তরাজু (২) করি হাতে। করে বীর বেণেরে জোহার। বেণে বলে ভাইপে এবে নাহি দেখি তো এ তোর কেমন ব্যবহার॥ খুড়া! উঠিয়া প্রভাতকালে কাননে এড়িয়া জালে হাতে শর চারি প্রহর ভ্রমি। ফুল্লরা পসরা করে সন্ধ্যাকালে যাই ঘরে এই হেতু নাহি দেখ তুমি ৷ খুড়া! ভাঙ্গাইব একটা অঙ্গুরী। হয়ে মোরে অনুকুল উচিত করিয়া মূল তবে সে বিপদে আমি তরি॥ (১) প্রণাম। (২) পরিমাপ করিবার যন্ত্র।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৪৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।