වේද8 বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। ঋজুমতি ঠাকুরাণী নাহি জান পাপ। দুগ্ধ দিয়া কি কারণে পোষ কাল সাপ॥ সাপিণী বাঘিনী সতী পোষ নাহি মানে। অবশেষে এই তোমায় বধিবে পরাণে॥ কলাপিকলাপ (১) জিনি খুল্লনার কেশ। অৰ্দ্ধপাকা কেশে তুমি কি করিবে বেশ। খুল্লনার মুখশশী করে ঢল ঢল। মাছিতায় মলিন তোমার গণ্ডস্থল ৷ ক্ষীণমধ্য খুল্লন যেমন মধুকরী। যৌবনবিহীন তুমি হৈলা ঘটোদরী॥ আসিবেন সাধু গৌড়ে থাকি কত দিন। খুল্লনার রূপে হবেন প্রেমের অধীন। অধিকারী হবে তুমি রন্ধনের ধামে। মোর কথা স্মরণ করিবে পরিণামে॥ নেউটয়া (২) আইসে ধন স্থত বন্ধুজন। না নেউটে পুনঃ দেখ জীবন যৌবন॥ দুর্ব্বলার বচনে লহনা অভিমান। কাণে সোণা দিয়া তার সাধিল সন্মান॥ খুল্লনার ছাগ-রক্ষণ ও নানা প্রকার দুৰ্গতি। খুল্লনারে লহন তুলিল হাতে ধরি। সারিয়া পরিল খুয়া খুল্লনা সুন্দরী। সাস্থনা করিয়া দুয়া গায়ের ঝাড়ে ধূলি। আপনি লহন তার বান্ধিলেক চুলি। ধীরে ধীরে যায় রাম লইয়া ছাগল। ছাট হাতে পাত মাথে যেমন পাগল॥ নানা শস্ত দেখিয়া চৌদিকে ধায় ছেলী (৩)। দেখিয়া কৃষক সব দেয় গালাগালি॥ শিরীষ-কুসুম তনু অতি অনুপাম। বসন ভিজিয়া তার গায়ে পড়ে ঘাম॥ উজয়নী নিকটতে অজয়নদী খান। কোলেতে করিয়া ছেলী পার করি যান॥ (১) ময়ূরের পক্ষ। (২) ফিরিয়া। (৩) ছাগলী।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৪৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।