==াম্রাজেন্দ্র লীভ। . গোবিন্দরাম বন্দ্যোপাধ্যায়-রচিত ধর্ম্মমঙ্গল। ময়ূর ভট্ট ধর্ম্মমঙ্গলের আদি কবি। র্তাহার রচনা উদ্ধৃত করিতে পারিলাম না। কিন্তু গোবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমান পঞ্চদশ শতাব্দীতে ময়ুর ভট্টের প্রাচীন পদ ভাঙ্গিয়া যে অভিনব কাব্য রচনা করিয়াছিলেন, তাহার অংশ নিম্নে উদ্ধত হইল। (খণ্ডিত) পুথি নকলের তারিখ বঙ্গাব্দ ১০৭১, (১৬৬৫ খৃষ্টাব্দ); পত্রসংখ্যা ১৭–৪৩। গ্রন্থ-রচনার সময়ের নির্দেশ নাই। আমরা ইহার রচনা পঞ্চদশ শতাব্দীর বলিয়া অনুমান করিয়াছি। ময়নাগড়ের রাজা লাউসেন দুশ্চর তপঃসাধন করিবার জন্ত হাকণ্ডে গিয়াছেন। এই সুযোগে গৌড়াধিপের প্রধান মন্ত্রী মাহুদ্ধা নবলক্ষ সৈন্ত লইয়া ময়নাগড় অবরোধ করিয়াছেন। লাউসেন তাহার প্রধান সেনাপতি কালু ডোমের উপর ময়নাগড়ের ভার দিয়া গিয়াছেন। কালু ডোম দুৰ্দ্ধৰ্ষ, তাহাকে কোন ক্রমেই অণটিয়া উঠিতে না পারিয়া মাহুদ্য ইন্ধ নামক এক যাদুকরের সহায়তা লইতেছেন। ইন্ধ এমন এক মন্ত্র জানিত যাহাতে অকস্মাৎ সকলে নিদ্রাযুক্ত হইত। ইন্ধারে জানিএ পাত্র (১) করিল সন্ধান। দিব্য বাস ভূষণ প্রসাদ জলপান। পাত্র বলে ময়নায় নির্দ্যাটি (২) দেহ ভাই। তোমার প্রসাদে গড় জিন্য (৩) গৌড় যাই॥ তোমার নিদ্যাটা দেবাসুর নাগে লাগে। কুকুর বিড়াল পঞ্চ লোক নাহি জাগে। (৪) (১) গৌড়েশ্বরের প্রধান মন্ত্রী মাছছা। (২) নিন্দ্যাট = যে মন্ত্রে সকলে নিদ্রিত হইয়া পড়ে। (৩) গড় =ময়নাগড়, জিন্তা=জিনিয়া=জয় করিয়া। (৪) তোমার নিদ্রার মন্ত্র এরূপ শক্তিশালী যে দেবাম্বর, নাগ সকলেই তাহাতে বশীভূত হয়। তাহার প্রভাবে কুকুর, বিড়াল এবং পঞ্চলোক (পঞ্চলোক =হু, ভুৰ, ৰং, মহ, জন ) কেহই জাগ্রত থাকে না।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৫০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।