প্রবাসে কদম্বতল রতন-মন্দির।[১]
গোপীগণ যার তলে উলঙ্গ শরীর॥
পথ ছাড় পরম সুন্দরী তুমি রাণী।
মনুষ্য জনমের সুখ আমি নাহি জানি॥
হরীতকী বয়ড়া কেবল গুয়া পাণ।
কি দিব দুঃখের লেখা পরাধীন প্রাণ॥
পরের মন্দিরে আমি বাসা নাই লই।
পরের পতিনী সঙ্গে কথা নাই কোই॥
পথ ছাড় পথিনী ছাড়িয়া দেহ গণ[২]।
কুলবতী কন্যা তুমি এ কায কেমন॥
এমন বএসে জান এত বড় কলা।
তোমার নিকট যেমন আমি শিশু বালা॥
বিধি মোরে বঞ্চিত করিল পঞ্চরসে।
বাসি ফুল কমলে ভ্রমর নাহি বৈসে॥
ঘরে গিয়া সেবা কর শ্বশুর শাশুড়ী।
সদাই স্বামীর সেবা কর্তে না করিবে তেড়ী॥
তোমার সমুখে বলিব আর কি।
কুরঙ্গ-নয়নী তুমি কুলীনের ঝী॥
বলিতে উচিত বাণী মনে কিবা দুঃখ।
জন্মাবধি নাই দেখি অসতীর মুখ॥
অসতী লোকের সঙ্গে করিয়া আলাপ।
একথা বলিলে পুন জলে দিব ঝাঁপ॥
এত শুনি নয়ানী কোটুর (?) নাহি হয়।
কোপুরের কথা শুনি মনে লাগে ভয়॥
লাউসেনে গর্জ্জিয়া মাগী বলে বিপরীত।
দ্বিজ রূপরাম গান ধর্ম্মের সঙ্গীত॥
মনে কর ধর্ম্মের তপস্বী আমি বড়।
ইন্দ্রকে চাহিয়া তুমি কত গুণে বড়॥
কুন অপরাধে হৈল্য সহস্রলোচন।
অঞ্জনা দেখিয়া কেন ভুলিল পবন॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৫১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৯০
বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়।