অরুণ বরুণ বায়ু আদি চতুর্ম্মুখ।
দেবতা সকল জানে দেখিতে কৌতুক॥
হনূমান আগুয়ান হরষ অন্তর।
লুকালেন রথখান মেঘের উপর॥
হরিহর এখানে ভৈরবী গঙ্গাতটে।
একাঞ্জলি উদক অশন করে উঠে॥
চঞ্চল কোটাল-চর চারিদিকে ধায়।
কেহ ধরে হাতে পায় কেহ বা গলায়॥
উচ্চৈঃস্বরে আকর্ণ অভেদ শূলি দিতে।
শূন্যে তুলে হনূমান বসালেন রথে॥
ইন্দ্র করে পুষ্পবৃষ্টি আনন্দে বিভোল।
জগৎ সংসার যুড়ে জয় জয় রোল॥
স্বর্গ গেল হরিহর সবে এই কথা।
মনস্তাপে মহামদ হেট কৈল মাথা॥
অধোমুখে এক দণ্ড যুক্তি অনুমান।
দ্বিজ শ্রীমাণিক ভণে ধর্ম্মগুণগান॥
এক চিন্তা করিতে অশেষ চিন্তা উঠে।
যাদৃশী ভাবনা করি যথাকালে যুটে॥
সুবিহিত শুন রাজা সুযোগ বিচার।
এই শুনি আপনি ঈশ্বর অবতার॥
না হলে বাইতি বেটা মরে যেত ঠায়।
মিথ্যা সাক্ষী দিয়া বেটা সকায় স্বর্গ যায়॥
যে কালে শূলির গাছ কেটেছে কামার।
মাহেন্দ্র-যোগের কিছু ছিল অধিকার॥
সত্য মিথ্যা সাক্ষাতে বুঝিব সমুদয়।
না দিয়াছে লাউসেন পশ্চিমে উদয়॥
বড় বেটা আমার বিনোদকান্ত রায়।
এই শূলে চাপালে সকায় স্বর্গ যায়॥[১]
রাজা কয় ধন্য পাত্র ধরণীর মাঝ।
বিচার করেছে ভাল বিলম্বে কি কায॥
- ↑ মাহুদ্যা বলিল যে, মাহেন্দ্রক্ষণে শূলের কাঠ কাটা হইয়াছিল, ইহাতে আমার বড় পুত্র বিনোদকান্তকে চড়াইলে সে সশরীরে স্বর্গে যাইবে।