ধর্ম্মরাজের গীত–রামনারায়ণ–১৭শ শতাব্দী। এমন দুরন্ত রিপু আইল নিকটে। না জানি এবার মোর ভাগ্যে কিবা ঘটে। ঈশ্বরী ঈষৎ হাসে ইছাই বচনে। কহিতে লাগিল চায়া গোয়ালার পানে॥ ইন্দ্র যম পবন বরুণ হুতাশন। চন্দ্র স্বর্য্য বিধি বিষ্ণু কিবা পঞ্চানন॥ ইহার তোমারে জানে শুনরে ইছাই। অরি হয়া তোমার সমুখ হবে নাই। কোন ছার লাউসেন সহজে মানব। তারে ভয় হয়্যাছে এই হস্তীর্ণব॥ ইছাই বলয়ে মাত কহি সমাচার। ধর্ম্মের সেবক সেন ধর্ম্ম-অবতার॥ অবিরত শ্রীধর্ম্ম তাহার কাছে আছে। গাভী যেন সতত থাকএ বৎস-পিছে। লোকমুখে শুষ্ঠাছি তাহার যত বল। জলন্ধৱে বধ্যাছে শার্দ্দল কামদল (১)। তারা-দীঘির জলে বড় আছিল কুম্ভীর। অক্ষয় অমর নরে নাই সত্য নীর॥ লাউসেন ধর্যা তার বধ্যাছে পরাণ। স্বরুক্ষ্য নটীর (২) কাটাছে নাক কাণ॥ এ সব সঙ্কট স্থান করিয়াছে জয়। হাতী মার্য জীয়ায়াছে কেহো কেহো কয়। (৩) গৌড়েশ্বর করিয়াছে ময়নার ভূপ। কপূরধলে জিনি জয় কৈল কামরূপ। সঙ্গে তার কালু ডোম তাহার সোসর। উচ্চৈঃশ্রব সম ঘোড়া অণ্ডির-পাথর (৪)॥ (>) জলন্ধর নামক রাজ্য কমল নামক বারে দ্বার বিনষ্ট হয়, লাউসেন সেই ব্যাঘ্রকে হত্যা করেন। এ সম্বন্ধে ধর্ম্মমঙ্গল-কাব্যে বিস্তৃত বিবরণ আছে। (২) সুরিক্ষা নাম্নী বারাঙ্গনা এক দেশের রাণী ছিল, সে লাউসেনকে প্রলোভনে মুগ্ধ করিতে চেষ্টা পাইয়াছিল। লাউসেন তাহার সমস্ত পূর্ণ করিয়া সর্ত অনুসারে তাহার নাসিক-কর্ণ ছেদন করিয়াছিলেন। (৩) কেহ কেহ বলে হস্তীকে বধ করিয়া লাউসেন পুনরায় তাহাকে জীবন দিয়াছে। (৪) লাউসেনের ঘোটকের নাম। ৪২৭
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৫৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।