86.8 শুলের ব্যবস্থা। মৃত্যুকালে হরিহরের ভগবানের প্রতি নিবেদন। (১) বাইতি ধর্ম্মের প্রতি নির্ভর করিয়া কোন কথা বলিল না। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। পাত্র ভাবে তৎকাল কেমনে কাটা যায়। কি জানি বাইতি-বেটা মোরে বা মজায়॥ পাত্র বলে নিবেদন শুন মহারাজ। চোরের উচিত শাস্তি অনুচিত ব্যাজ॥ অবিচারে মহারাজা দিতে বলে শূলি। আনন্দে বলিছে পাত্র ধন্ত কাল কলি ৷ না কয় বাইতি কিছু ধর্ম্ম অভিমানে। (১) কোটাল লইয়া গেলা বধিতে মশানে॥ সাজায়ে সরল শূলি শিমুলের কাঠে। চাপায়ে চোরের কান্ধে চলে দিব্য ঠাটে॥ বাজে কাড়া যোড়া শিঙ্গা করতালি কণসী ৷ দেখিতে ধাইল যত নগরনিবাসী ৷ কেহ হাসে কেহ কান্দে কেহ তালি দেই। কেহ বলে চোরের উচিত শাস্তি এই॥ ভৈরবী গঙ্গার ঘাটে আরোপিল শূলি। তখন বাইতে কয় করিয়া ব্যাকুলি ৷ হরিগুরু-চরণ-সরোজ করি ধ্যান। শ্রীধর্ম্ম-মঙ্গল দ্বিজ ঘনরাম গান ৷ হরিহরের স্তব। কোটাল খানিক রাখহ মোর প্রাণ। অশেষ পাপের পাপী পতিতপাবন জপি পরিণামে পেতে পরিত্রাণ॥ জগতে জনমাবধি চুরি নাই করি যদি চোর বাদে রাজা দেয় শূলি। স্নান করি গঙ্গাজলে দেব-পিতৃ-বন্ধু-কুলে তুমি দিতে দেও জলাঞ্জলি ৷ আপন দুঃখের কর্ম্ম কিবা কলিযুগ-ধর্ম্ম বৃথা যদি জন্ম যায় বয়ে। নিদান নিগুর্ণ নিত্য নয়ন মুদিয়া চিত্ত ক্ষণেক চিন্তিয়া আমি রয়ে॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৫৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।