পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৫৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ԳՀ হাকগু-তীর্থের মাহাত্ম্য। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। সেন বলিছেন তবে সামুলার (১) পায় ধরি। পূজা কি করিব পাছে জলে ডুবে মরি। সামুলা বলেন বাছা মন কথা নাঞি। আপনি কাণ্ডারী হয়্যা তরিব গোসাঞি॥ সেতুবন্ধ গেল নৌকা বামে রহে লঙ্কা। বিষম জলের চোট দেখ্যা লাগে শঙ্কা॥ শ্রীরামের কীর্ত্তি দেখ্যা সেনে লাগে ধন্ধ। হাতে প্রাণ করিয়া পারাল্য সেতুবন্ধ। ডানি দিকে দূরে মক্কা মদিনার ঘর। হাকও-ভুবন পান রঞ্জার কুঙর॥ আরক্ত বরণ নদী হাকণ্ডের জল। দূরে হত্যে ভাকত দেখেন অস্তাচল। সামুলা বলেন বাছা হাকণ্ডাত্র চাঞি। ইহার সমান তীর্থ ত্রিভুবনে নাঞি॥ দ্বিতীয় গোলোক ইথে অনাদ্যের ঘর। কর্যাছিল গাজন এখানে পুরন্দর। নিরন্তর এথা সব দেবতার বাস। দেবকন্ত ধর্ম্মকে পূজেন বার মাস॥ ব্রহ্মা আছা এখানে পূজিল নিরঞ্জন। সন্ন্যাসী বিস্তর এথা কর্যাছে রাবণ॥ বরুণ এখানে যজ্ঞ কৈল দশ বার। মনোবাঞ্ছা সিদ্ধ তারে কৈল করতার॥ নিরঞ্জন পূজা তুমি কর ভক্তিভাবে। অনায়াসে পশ্চিম-উদয় বর পাবে। এত শুনি হরষিত রঞ্জার নন্দন। ঘাটে লাগাইয়া নৌকা বান্ধিল তখন॥ হকও দেখিয়া সব সন্ন্যাসী হরিষ। নাএকেরে কৃপা কর প্রভু জগদীশ। ধন পুত্র বিভব বাড়াবে নিতি নিত। নিরন্তর নাএক গাওয়ায় যেন গীত॥ (১) কোন স্থলে ‘সামুলা এবং কোন স্থানে সামুল্যা পাঠ