8ᏄᏬ ধর্ম্মঠাকুরের ময়নারক্ষার চেষ্টা। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। হাতে ধর্য হাসনের (১) মহাপাত্র কয়। এমন করিবে কার্য্য যাতে লজ্জা রয়॥ জনে জনে সন্মান শিরোপা একে একে। লুট মাপ বলিয়া নকিব ঘন ঘন ডাকে। (২) চারিদিকে ময়না বেড়িছে কড়াকড়। আগু ধরে কামান পশ্চাৎ বনগড়॥ ঢালী সব চলিল মাথায় ঢাল মুড়া। তার পাছে ধানুকী ধনুকে তীর যুড়া | ওতথাত পায়্যা সব বসিল বন্দুকী। দারু ভর্যা হাতে নিল জলন্ত জাথৰ্কী॥ হাতী ঘোড়া রাহুত মাহুহ কানে কান ৷ পূর্ব্বদ্বারে থানা দিল মোগল পাঠান। কালিন্দী নদীর জল তড়ে হৈল পার। আপনি আগুলে পাত্র দক্ষিণ দুয়ার॥ বার ভূঞা দক্ষিণ হুয়ারে দিল থানা। তার সাথে কথক রহিল রায় রাণী॥ পশ্চিম দুয়ারে রহে গঙ্গাধর ভাট। ময়না বেঢ়িল সব ভূপতির ঠাট। সিপাই হত্যার হাতে রহে সাবধান। বৈকুণ্ঠ হইতে ধর্ম্ম দেখিবারে পান। হনুমানে বলেন ঠাকুর নিরঞ্জন। অবিলম্বে যাহ তুমি ময়না-ভূবন। নব লক্ষ দল লৈয়া গৌড়ের পাত্তর। চোরা ঘায় নষ্ট করে ময়ন-নগর॥ হাকও-ভুবন গেছে রঞ্জার নন্দন। কালু বীর নিদ্রায় হয়্যাছে অচেতন॥ কহ গিয়া স্বপনে তাহাকে সবিশেষ। রণ কর্য রাখে যেন আপনার দেশ॥ (১) হাসেন নামক সেনাপতির। এই যুদ্ধ যখন সংঘটিত হয়, তখন এতদ্দেশে মুসলমানগণ আসেন নাই। কবিগণ “হাসন” প্রভৃতি নাম পরবর্তীকালে কল্পনা করিয়াছেন। (২) নকিব (ভৃত্য, যে রাজাদেশ উচ্চৈঃস্বরে প্রচার করে ) ঘন ঘন ডাকিয়া বলিতে লাগিল যে অন্তকার যুদ্ধে লুণ্ঠন মার্জনীয়।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬০০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।