রামায়ণ–কৃত্তিবাস—জন্ম ১৩৮৫-১৪০০ খৃষ্টাব্দের মধ্যে। 6 o 3) এক প্রসাদ মাগি মা না করিহ আন। অদ্ভুত বর প্রার্থনা। রাম লক্ষ্মণ তুষ্ট হবেন মোরে দিলে দান ৷ তোমার ঠাঞি আছে যত রাবণের চেড়ী। আমার অগ্রেতে তোমায় উঠাঞাছে বাড়ি (১)॥ চড়ে দন্ত ভাঙ্গিৰ চুল ছিড়িব গোছে গোছে। আছাড়িয়া প্রাণ নিব আজি ডাগর ডাগর গাছে॥ নদ নদী দেখ যথা যথা ডাগর বালি। তাথে মুখ ঘসিব ধর্য ধর্য চুলি। এই প্রসাদ দেহ মাগো না করিহ আন। রাম লক্ষ্মণ সুখী হবেন মোরে দিলে দান॥ হনুমান যত বলে রাক্ষসী সব শুনে। ত্রাসে রাক্ষসী সব চাহে সীতার পানে॥ সীতাদেবী বলেন বাপু মোর কর্ম্মের ফলে। আমার দুর্গতি করে রাবণের বোলে। শুভ দশা হৈল এবে কারে নাই বাট। তিন সন্ধ্যা পাএ পড়ে দন্তে করি কুট। (২) রাজ-পাত্র বানর তুমি বুদ্ধে বৃহস্পতি। সীতার প্রবোধ-দলি। স্ত্রী-হত্যা করিয়া কেনে রাখিবে অখ্যাতি॥ রাজার ঠাঞি জানাহ বাপু আমার যত দুঃখ। সহস্ৰ সুখ দেখে হয় রামচন্দ্রের মুখ॥ চলিল যে হনুমান মাএর আদেশে। সীতার বার্তা রামে কহেন বিশেৰে॥ যার তরে কৈলে গোসাঞি বোর মহামার। হেন সীতা আন্যা দেখ অস্থি-চর্ম্ম-সাৱ॥ অনেক দুঃখ পাইলা মা পাইলা অপমান। তোমা দরশনে স্নাত্রর দুঃখ অবসান। সাত পাচ রামচন্দ্র ভাবি মনে মন। সীতাকে আনিতে সীতা আনিতে পাঠাইলা ৰাজ বিভীষণ। বিভীষণের গমন। (১) যষ্টি। (২) এখন আমার শুভ সময় উপস্থিত, এখন আর ইহারা অপরাধ করে না ( নাই ঘাট ),-এখন ইহারা দন্তে কুটা লইয়া তিন সন্ধ্য আমার পায় পড়িতেছে।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬২৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।